শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন এক ভিডিও বার্তায় সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন ভারতের বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ান।
ভিডিওবার্তায় ধাওয়ান বলেন, আমার লক্ষ্য ছিল একটাই—দেশের হয়ে খেলা। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। সবাইকে ধন্যবাদ। প্রথমত আমার পরিবার ও বাল্যকালের কোচ, যাদের কাছ থেকে ক্রিকেট শিখেছি। তারপর ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিসিসিআই ও ডিডিসিএকে (দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) তারা আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল। এ ছাড়া গোটা দলকে, যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি। ক্যারিয়ারে আমি সবার ভালোবাসা আর সমর্থন পেয়েছি। গল্পের বই পড়তে পড়তে যে রকম পাতা ওল্টাতে হয়, আমিও সেটাই করছি। আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।
বিদায়ের ঘোষণায় ধাওয়ান আরও বলেন, ভারতের হয়ে এতোদিন খেলেছি এই আত্মতৃপ্তি নিয়ে বিদায় বলতে পারছি। নিজেকে বলতে চাই, তুমি আর ভারতের হয়ে খেলতে পারবে না বলে দুঃখ করো না। বরং এটা ভেবে আনন্দ পাওয়া উচিত যে, তুমি দেশের হয়ে খেলতে পেরেছো।
বাঁহাতি ওপেনার দেশের হয়ে ৩৪টি টেস্টে ৭ টি শতরান আছে তার করেছেন ২৩১৫ রান।
১৬৭টি এক দিনের ক্রিকেটে ৬৭৯৩ রান করা ধাওয়ান করেছেন ১৭টি শতরান।
৬৮টি টি-টোয়েন্টিতে ১৭৫৯ রান করেছেন ধাওয়ান।
রোহিত শর্মার সঙ্গে তার জুটি ভারতকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। বিশেষ করে আইসিসি প্রতিযোগিতায় রোহিত এবং ধাওয়ানের সাফল্য ছিল নজর কাড়া। বেশ কিছু এক দিনের ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
২০১০ সালে বিশাখাপট্টনমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ধাওয়ানের। জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ ম্যাচটিও খেলেছেন এই সংস্করণে ২০২২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
চলতি বছরের এপ্রিলে আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটিই হয়ে রইলো তার শেষ।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিং: ধাওয়ান একজন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত। তিনি দ্রুত রান করতে পারতেন এবং শুরু থেকেই দলকে একটি ভালো সূচনা দিতে পারতেন।
ভারতের ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন ধাওয়ান। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়ে পেয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি।