প্রকাশকালঃ
০২ জুলাই ২০২৪ ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ ৪৪২ বার পঠিত
বোরোর রেকর্ড উৎপাদনের পরও ফের চালের বাজার অস্থির। রাজধানীর বাজারগুলোয় জাতভেদে কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা দাম বেড়েছে চালের। পর্যাপ্ত সরবরাহ ও মজুতের পরও এই দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক বলছেন পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর এ জন্য মিলারদের কারসাজিকেই দুষছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা।
গত অর্থ বছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ২২ লাখ ৬৬৪ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ২ লাখ টন বেশি উৎপাদন হয়েছে। আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, ৯ লাখ ৫৯ হাজার ২৮৮ টন চাল মজুদ আছে। উদ্বৃত্তের পাশাপাশি চালের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও রাজধানীর বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। মানভেদে মোটা, মাঝারি, চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত।
সংকটের এই সময়ে হঠাৎ চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। এক বিক্রেতা বলেন, ৫২ টাকা কেজির চাল আজ ৫৫ টাকা রাখতে হয়েছে। এছাড়া একজন বলেন, বাধ্য হয়েই নিচ্ছি। আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। এই মূল্য বৃদ্ধি অযৌক্তিক বলছেন খোদ ব্যবসায়ীরাই। এ ব্যাপারে এক ব্যবসায়ী বলেন, হঠাৎ করেই বস্তা প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দাম বেড়েছে, কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা। দাম বাড়ার কারণও বুঝতেছি না আমরা। অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, একমাত্র মিলার ও কোম্পানির সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বাড়ছে।
এদিকে মিলারদের প্রতি নির্ভরতা কমাতে কৃষকদের কাছ থেকে ধানের পাশাপাশি সরকারকে চাল কেনার পরামর্শ কৃষি অর্থনীতিবিদদের। এ ব্যাপারে কৃষি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল বলেন, মূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সরকার যদি যথেষ্টভাবে চালও কৃষকের কাছ থেকে ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে ভালো উদ্যোগ হবে। এতে কৃষকরাও সরাসরি এখান থেকে উপকৃত হবেন।