পাটের উৎপাদন খরচ বাড়লেও দাম বাড়েনি

প্রকাশকালঃ ২৭ আগu ২০২৩ ০২:১৩ অপরাহ্ণ ২৯৩ বার পঠিত
পাটের উৎপাদন খরচ বাড়লেও দাম বাড়েনি

সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় একসময় প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর হিসেবে পরিচিতি এখনও রয়েছে। সোনালী আঁশের পাট বন্দরটি এখন সোনালী অতীত হয়ে আছে।  এবারের চলমান মৌসুমে বন্দরে পাট কেনা বেচা চলছে।

এখনো সরকারী বা বেসরকারী কোন পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়নি। ব্যবসায়ীরা পাট কোথায় আর কাদের কাছে বিক্রি করবে তা নিয়ে চিন্তিত। উৎপাদিত পাট হাটে বিক্রি করতে এসে পাটচাষীদের মাথায় হাত। আশা করেছিলেন গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি দামে পাট বিক্রি করতে পারবেন।

কিন্তু, সেই স্বপ্ন তাদের পুরন হয়নি। তাই পাট আবাদে বিমুখ হচ্ছেন এই উপজেলার কৃষকরা। উৎপাদন খরচ বেশি এবং দাম না পাওয়ায় দিনদিন আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। গত বছরের তুলনায় কম দামে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে।


গত বছর প্রতি মণ পাট বিক্রি করেছিলেন ৪ হাজার  টাকা দরে। এ বছর পাট বিক্রি করতে হয়েছে ২ হাজার  টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে।

উপজেলার প্রান্তিক পাটচাষীরা জানান, এবার ৩ বিঘা জমিতে পাটচাষ করে ফলন পেয়েছেন ১৭ মণ। খরচ হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা। গত বছর ৩ বিঘা জমি থেকে পাট পেয়েছিলেন ১৯ মণ আর খরচ হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা।

এ বছর তেল, সার, কীটনাশকের দাম ও শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তারা  বলেন, 'পাট চাষ করে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।'


উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্না ইয়াছমিন সুমি জানান, গত বছরের চেয়ে এবার ২০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। গত বছর ১৬ শত হেক্টর জমিতে  আবাদ হয়েছিল চলতি বছরে ১৬ শত ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। চাষীদের এ চাষাবাদে বিনামূল্যে বীজসহ মাঠ পর্যায়ে নানা ধরনের পরার্মশ ও সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে। 

পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে উঁচু, নিচু, পতিত জমিতে কৃষকদের পাট চাষাবাদে উৎসাহিত ও পরার্মশ দিয়েছি। কৃষকরা পরার্মশ মতে পাট চাষাবাদ করেছেন। আশা করছি এবার ভাল ফলনও পেয়েছে।

গত দুই বছর পাটের দাম ভালো হওয়ায় এ বছর কৃষকেরা পাট চাষ করেছেন। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়েছে। তবে পানির অভাবে কৃষকের পাট জাগ দিতে সমস্যা হচ্ছে। কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি হলে এ সমস্যা থাকবে না। পাটের দাম কিছু দিনের মধ্যে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই কৃষি অফিসার।