বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষা বিসিএস। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন ক্যাডারে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে অনেক তথ্যই আমরা জানি। কিন্তু কিছু তথ্য রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। এখানে বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য দেওয়া হল:
বিসিএস পরীক্ষার ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সরকারের অধীনে প্রথম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তখন এই পরীক্ষার নাম ছিল "পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা"। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই পরীক্ষার নাম হয় "বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা"।
বিসিএস পরীক্ষা তিনটি স্তরে বিভক্ত। প্রথম স্তর হল প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, দ্বিতীয় স্তর হল লিখিত পরীক্ষা, এবং তৃতীয় স্তর হল ভাইভা পরীক্ষা।
বিসিএস পরীক্ষায় মোট ২৭ টি ক্যাডার রয়েছে। এই ক্যাডারগুলো হল:
সাধারণ ক্যাডার
কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার
বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে:
বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
নির্দিষ্ট ক্যাডারের জন্য প্রযোজ্য শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।
বিসিএস পরীক্ষার সাফল্যের হার
বিসিএস পরীক্ষার সাফল্যের হার খুবই কম। প্রতি বছর প্রায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, কিন্তু মাত্র কয়েকজনকে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রার্থীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পরীক্ষার ফি প্রদান করতে হয়। এই ফি প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়।
এখানে আরও কিছু অজানা তথ্য দেওয়া হল:
এই তথ্যগুলো বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে আপনার জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে। বিসিএস পরীক্ষায় সফল হতে হলে আপনাকে এই তথ্যগুলো সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে