আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চলে ফের দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনের ভয়াবহতা। সাতটি নদীবেষ্টিত এ উপজেলার দুই শতাধিক চর ও তিন শতাধিক গ্রাম এখন ভাঙনের হুমকিতে দিশেহারা।
গত দুই দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বেড়ে যায় নদীর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলি জমি তলিয়ে যায়। পানি নামতে শুরু করতেই ভাঙন আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। ফলে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও গবাদিপশু নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন চরবাসী।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নারায়ানপুর ইউনিয়নের চৌদ্দঘুড়ী চর এলাকায় নদীর তীর ঘেঁষে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন স্থানীয়রা। চর উন্নয়ন কমিটি, নাগেশ্বরী শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে উপজেলার নয়টি নদীবেষ্টিত ইউনিয়নের মানুষ অংশ নেন।
ইউনিয়নগুলো হলো- নায়ানপুর, নুনখাওয়া, কালীগঞ্জ, বেরুবাড়ি, কচাকাটা, কেদার, রায়গঞ্জ, বল্লভেরখাস ও বামনডাঙ্গা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বছরের পর বছর নদী ভাঙনে চরবাসী নিঃস্ব হচ্ছে। কোথাও আশ্রয় নেই, নেই সরকারি কার্যকর উদ্যোগ। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হবে।
চর উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রসুল রাজা বলেন, চরের মানুষ বছরের পর বছর ভাঙনে ঘর হারাচ্ছে। কোথাও আশ্রয় নেই, নেই ভরসা। আমরা চাই জরুরি ভিত্তিতে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা।
সংগঠনের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক সফিউল আলম সফি বলেন, কেবল প্রতিশ্রুতিতে ভাঙন থামবে না। এখনই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, নইলে অচিরেই হাজারো পরিবার হারাবে আশ্রয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চর উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম, চর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব ওমর ফারুক, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান,পৌর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন আপেল, প্রেসক্লাব নাগেশ্বরীর সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী।
সমাবেশে চরবাসীরা হাত তুলে শপথ নেন- নদী ভাঙন রুখবই, বাঁচাবই আমাদের অস্তিত্ব।