ঢাকা প্রেস নিউজ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের উৎখাতের মাধ্যমে অভ্যুত্থানে সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকের দিনে আমাদের সাবধান থাকতে হবে, যাতে আমরা শেখ হাসিনার পাতা ফাঁদে পা না দেই। দেশের স্থিতিশীলতা আজ বিপন্ন, অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে, এবং এর পুরো দায় হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের ওপরই বর্তায়। আমাদেরকে খুব সতর্কতার সাথে পথ চলতে হবে।”
রোববার বিকেলে, রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এদিন তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিকাল ৪টা ৫৮ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান। একই সময়ে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা জারনাজ রহমানও যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডন ফিরেছেন।
গত ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ এ আমন্ত্রিত হয়ে অংশ নেন মির্জা ফখরুল, আমির খসরু এবং জায়মা জারনাজ রহমান।
মির্জা ফখরুল জানান, তাদের যুক্তরাষ্ট্র সফর ছিল অত্যন্ত সফল এবং যে উদ্দেশ্যে তারা গিয়েছিলেন, তাও পূর্ণতা পেয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, “ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ভালো আছেন। তার চিকিৎসা চলছে।”
তিনি আরো জানান, জায়মা রহমানের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের অভিজ্ঞতা ছিল খুব ভালো।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “একটা অন্ধকারকে দূর করতে আরেকটা অন্ধকার দিয়ে দূর করা যায় না। অন্ধকার দূর করতে আলোর প্রয়োজন, এবং সেই আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সবাই একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, এবং ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে কাজ অব্যাহত রাখবো।”
অপারেশন ডেভিল হার্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা তো বাইরে ছিলাম, তাই ‘ডেভিল হার্ট’ সম্পর্কে তেমন জানি না। তবে, ফ্যাসিস্টদের সম্পর্কে জানি। এতদিন পরে তাদের বোধোদয় হয়েছে, এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
