এনবিআর শাটডাউনের প্রভাব চট্টগ্রাম বন্দরে, শুল্কায়নে অচলাবস্থা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ জুন ২০২৫ ০১:৫৫ অপরাহ্ণ   |   ৭০ বার পঠিত
এনবিআর শাটডাউনের প্রভাব চট্টগ্রাম বন্দরে, শুল্কায়নে অচলাবস্থা

হোসেন বাবলা (চট্টগ্রাম):-


 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাব পড়েছে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামে। শুল্কায়ন কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় আমদানি-রপ্তানির পণ্য খালাসে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।
 

শনিবার (২৮ জুন) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি রবিবারও (২৯ জুন) চলমান রয়েছে। কাস্টমস অনুমোদন না থাকায় পণ্য খালাস কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বন্দর এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক ও কনটেইনারবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। গার্মেন্টস রপ্তানিকারকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
 

সাবেক সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন নেতা কাজী মাহমুদ ইমাম বিলি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সব আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম কাস্টমস অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল। কাস্টমস বন্ধ মানেই বন্দর কার্যক্রম স্থবির।”
 

চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ পার্সোনাল অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, জেটিতে পণ্য ওঠা-নামার কাজ চালু থাকলেও খালাস পয়েন্টগুলোতে কাস্টমসের অনুপস্থিতির কারণে জট সৃষ্টি হচ্ছে।
 

শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন জানান, “পূর্ব অনুমোদনপ্রাপ্ত জাহাজে কার্যক্রম চললেও নতুন নিবন্ধিত জাহাজগুলোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। শুল্কায়ন না হলে রপ্তানিতেও প্রভাব পড়বে।”
 

রাজস্ব খাতে সংস্কার ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ১২ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ গঠনের পর থেকেই আন্দোলনের সূত্রপাত। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশোধনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত হলেও, ২২ জুন থেকে চেয়ারম্যান অপসারণ দাবিতে নতুনভাবে শুরু হয় কর্মসূচি।
 

সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি আজও চলবে। আন্দোলনকারীরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী হলেও দ্রুত সমাধান না হলে আমদানি-রপ্তানিতে বড় ধরনের সঙ্কট দেখা দিতে পারে।