মুক্তিযুদ্ধা ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত: একজন জীবন্ত কিংবদন্তি

প্রকাশকালঃ ১৯ মে ২০২৪ ০৮:৫৯ অপরাহ্ণ ৮৪১ বার পঠিত
মুক্তিযুদ্ধা ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত: একজন জীবন্ত কিংবদন্তি

ঢাকা প্রেসঃ
মো:আমিনুল ইসলামঃ-


ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
ছিলেন একজন বহুমুখী প্রতিভাধারী ব্যক্তিত্ব - একজন আইনজীবী, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক এবং সর্বোপরি একজন দেশপ্রেমিক। ১৮৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করে, তিনি তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন এবং বাংলার ইতিহাসে একটি অমলিন স্মৃতি বহন করে গেছেন।

 


জন্ম ও শিক্ষা:

ত্রিপুরা (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া) জেলার রামরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ, নবীনগর হাই স্কুল, কুমিল্লা কলেজ এবং কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা, ১৯১০ সালে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন।

কর্মজীবন:

একজন সফল আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন, ১৯১১ সালে কুমিল্লা জেলা বারে যোগদান, 'ত্রিপুরা হিতসাধনী সভা'-র সেক্রেটারি নির্বাচিত (১৯০৭), 'মুক্তি সংঘ' নামে একটি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা প্রতিষ্ঠা, অভয় আশ্রমের সাথে জড়িত ছিলেন, ১৯৩৬ সালে ত্রিপুরা (বর্তমানে কুমিল্লা) জেলা বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত, ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে ত্রাণ বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম:

১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে যোগদান, ১৯১৯ সালের বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসে অংশগ্রহণ, অসহযোগ আন্দোলনে (১৯২০) সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ, ১৯৩৭ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত, বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন সংশোধন ও বঙ্গীয় কৃষিঋণ গ্রহীতা ও বঙ্গীয় মহাজনি আইন প্রণয়নে ভূমিকা, ১৯৪২ সালের ভারত ছাড় আন্দোলনে যোগদান, ব্রিটিশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বারবার গ্রেফতার ও কারাদণ্ড।

 

পূর্ব পাকিস্তানে ভূমিকা:

১৯৪৬ সালের নির্বাচনে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত, ১৯৪৭ সালের পর একজন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেন, ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবি জানান, ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানে গভর্নরের শাসন প্রবর্তনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপন, ১৯৫৬-৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী।

 

মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদত্ব: ১৯৭১