দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বের হজযাত্রীরা সৌদি আরব যাচ্ছেন। মদিনা ও জেদ্দার বিমানবন্দরে গোলাপ ও খেজুর দিয়ে তাঁদের বরণ করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের হজ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে মদিনা নগরী পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। ইতিমধ্যে মদিনায় আকাশপথ ও স্থলপথে চার লাখ ৩৪ হাজার ৯৮০-এর বেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন।
তাঁদের মধ্যে আকাশপথে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ এয়ারপোর্টে পৌঁছেছেন দুই লাখ ৭১ হাজার ৫৬২ হাজি। আর ৮১ হাজার ১৯৪ জন স্থলপথে মদিনায় প্রবেশ করেন। গত ৭ জুন সৌদি বার্তা সংস্থা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৮৯ হাজার ৮৭৬ জন, ভারত থেকে ৪৪ হাজার ১৭৩ জন, পাকিস্তান থেকে ২৮ হাজার ৭৪৯ জন এবং নাইজেরিয়া থেকে ২৮ হাজার ৭৩৮ জন আসেন।
গত কয়েক দিনে দুই লাখ ২০ হাজারের বেশি হজযাত্রী মদিনা থেকে মক্কায় চলে গেছেন। মদিনা অঞ্চলে সৌদি রেড ক্রিসেন্ট অথরিটি (এসআরসিএ) এবারের হজ মৌসুমের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। আগামী ১৫ মহররম পর্যন্ত মুসল্লিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও পথনির্দেশনা সেবা দিয়ে যাবে সংস্থাটির স্বেচ্ছাসেবকরা। হজযাত্রীদের সেবায় মদিনায় ৪৫টি ইমারজেন্সি সেন্টারের আওতায় ৭৯টি প্যারামেডিক দল সেবা দিচ্ছে। ৯৯৭ নম্বরে কল করে বা অংধভহু অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো চিকিৎসাসেবা পাওয়া যাবে।
হজের প্রস্তুতি হিসেবে মক্কার প্রবেশপথে ১০ লাখ ৮৮ হাজার বর্গমিটার আয়োতনের পাঁচটি পার্কিং লট প্রস্তুত করা হয়। এখানে অন্তত ৫০ হাজার গাড়ি একসঙ্গে পার্কিং করা যাবে। হজযাত্রীদের আগমনের জন্য মক্কার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ প্রস্তুত রেখেছে সৌদির সড়ক বিষয়ক জাতীয় কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া গত ১৫ মে থেকে মক্কায় প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করে মক্কার জননিরাপত্তা অধিদপ্তর।
আগামী ১৮ জুনের (২০ জিলকদ) মধ্যে সব ওমরাহযাত্রীকে মক্কা ছেড়ে যেতে বলা হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। করোনার আগের মতো বৃহৎ পরিসরে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ২০ লাখের বেশি মুসলিম হজে অংশ নেবেন। এর মধ্যে ১২ লাখের বেশি বিভিন্ন দেশের হজযাত্রী থাকবেন। এ বছর এক লাখ ২২ হাজার ২২১ বাংলাদেশি হজ পালন করবেন। গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের ফ্লাইট শুরু হয়। এরই মধ্যে ৬২ হাজার ২০৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।