প্রকাশকালঃ
২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:০৭ অপরাহ্ণ ১৬৫ বার পঠিত
গতকাল সোমবার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের পাশাপাশি হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে লেনদেন। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬২৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৬.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৩৮০.৭৫ পয়েন্টে ও বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২১৪৭.৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন এই বাজারে ১ হাজার ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৪৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গতকালের এই লেনদেন গত বছরের ১৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে ২০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। কমেছে ১৪৫টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম।
দেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল বিডি থাই অ্যালুমেনিয়ামের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৮৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো: লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, দেশবন্ধু পলিমার, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, বিচ হ্যাচারি, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৯৩ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
গতকাল লেনদেনকৃত মোট ২৬৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১১৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দর।
শেয়ার বাজারের উত্থানের কারণ
শেয়ার বাজারের উত্থানের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
গত রবিবার শেয়ার বাজারে বড় পতনের পর অনেক বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু গতকাল তারা আবার শেয়ার কেনার মাধ্যমে বাজারে ফিরে এসেছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে শেয়ার বাজারের উত্থান।
দেশে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি।
শেয়ার বাজারের ভবিষ্যৎ
শেয়ার বাজারের উত্থান থেকে ইতিবাচক বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। তবে, বাজার স্থিতিশীল হতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। কারণ, এখনও অনেক বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত রয়েছেন। তবে, বাজারের ইতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পাবেন এবং বাজার আরও বেশি স্থিতিশীল হবে।