প্রকাশকালঃ
১৮ এপ্রিল ২০২৩ ০২:৩৬ অপরাহ্ণ ১২৫২৭ বার পঠিত
বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষায় যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জানা থাকলে ভাইভা দেওয়া আরও সহজ হয়। ভাইভা পরীক্ষার জন্য নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির সুবিধার জন্য এমন কিছু দিক নিয়ে এ আয়োজন।
১. ছেলেরা স্যুট-টাইসহ ফরমাল পোশাক পরবেন। সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট উত্তম। জুতা কালো রং হওয়া ভালো। ফিতাওয়ালা অক্সফোর্ড শু হলে আরও ভালো। মেয়েরা মানানসই শাড়ি পরবেন। ভেতরে ভালো মানের এসি আছে বিধায় গরম ও পোশাকের মধ্যে সংঘর্ষ হবে না। কেউ চাইলে টুপি, পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে যেতে পারেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই।
২. পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চুল আদর্শ মান পর্যন্ত ছেঁটে রাখা উচিত। পরিচ্ছন্নতা আপনার রুচির পরিচায়ক। মেয়েদের ক্ষেত্রেও আদর্শ মান বজায় রাখা উচিত।
৩. কক্ষে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় যথেষ্ট সতর্ক থাকবেন। সাধারণ আদর্শগুলো মেনে চলবেন। যেমন অনুমতি নেওয়া, সালাম দেওয়া, নম্রভাবে হাঁটা ইত্যাদি সহজ কাজ কিন্তু অনেকে ভুলে যান।
৪. বোর্ডে মুসলিম প্রার্থী সালাম দেবেন, হিন্দু প্রার্থী নমস্কার এবং অন্য ধর্মের প্রার্থীরা নিজের রীতি মেনে বলবেন। কারণ, আপনি বোর্ডের সবার ধর্ম সম্পর্কে জানেন না।
৫. সালাম তিনজনকে দেবেন না। শুধু বোর্ডের সভাপতিকে লক্ষ্য করে একবার দেবেন।
৬. সাধারণত ২০ মিনিটের মতো আপনাকে বোর্ডের সামনে থাকতে হতে পারে। আমার জানামতে, ৩৪তম বিসিএসে একজনকে ৪৫ মিনিট রেখেছিল। তবে এটা ব্যতিক্রম। ভয়ের কিছু নেই।
৭. বোর্ডের চেয়ারম্যান বা সদস্য নারী হলেও স্যার সম্বোধন করবেন। আর পুরুষদের স্যার বলবেন।
৮. আপনার গলার স্বর কখনো অধিক উচ্চ বা অধিক নিম্ন হবে না। আদর্শ মান বজায় রেখে কথা বলবেন। ৩৫তম বিসিএসে এক প্রার্থী জোরে সালাম দেওয়ায় বোর্ড রেগে গিয়েছিল। আরেকটা বিষয়, কথা বলার গতি খুব দ্রুত বা ধীর যেন না হয়। এতে বিরক্ত হন অনেকে। কথার মধ্যখানে অ্যা, হুম উচ্চারণ করা যাবে না।
৯. বাংলা প্রশ্ন বাংলায় উত্তর, ইংরেজি প্রশ্ন ইংরেজিতে উত্তর এবং ইংরেজি-বাংলা মিশ্রিত প্রশ্নের উত্তর মিশিয়েই দেবেন।
১০. যদি বাংলায় কথা বলেন, কোনোভাবেই ইংরেজি শব্দ টেনে আনবেন না। এতে সমস্যা হতে পারে। তবে টেকনিক্যাল শব্দ ব্যবহার করতে পারেন।
১১. অনেক সময় ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর বাংলায় দিতে চাইলে অনুমতি নিয়ে নেবেন। বোর্ড অনুমতি দিলেই কেবল বলবেন, অন্যথায় নয়। তবে অনেক বোর্ড বাংলা বলার অনুমতি দেয় না।
১২. উত্তর খুব সহজ ভাষায় উপস্থাপন করুন। পারলে পয়েন্ট আকারে বলবেন। একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ, যা জিজ্ঞেস করল, তার বেশি বলতে যাবেন না।
১৩. একটা কথা মনে রাখবেন, বোর্ড আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে না। আপনি বোর্ডকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। কীভাবে? ধরুন, আপনার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া। তাহলে আপনাকে লালন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে বেশি।
১৪. বোর্ড যদি কারও সঙ্গে খুব বেশি আন্তরিকতা প্রকাশ করে, তবে ধরে নেওয়া হয় ইতিবাচক একটা নম্বর আসতে পারে। ‘তুমি’ সম্বোধনও অনেক সময় ইতিবাচক। তবে এটি কোনো প্রতিষ্ঠিত সত্য নয়।