রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের অভিযোগে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন—বংশাল থানা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুল্লাহ শিপলু (৪৫), ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ (৫৬) ও সদস্য মো. হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আসলাম চৌধুরী ইমন (২৪), যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের নেতা ও অর্থদাতা মোবাশ্বের রহমান (৫৫), ঝালকাঠির কুশঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন (৫৪), সাবেক মেয়র ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. কামাল হোসেন শেখ (৬২), উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল (৫৫), বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগের সম্পাদক ও সুনামগঞ্জের বালিজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন (৫২), শেরেবাংলা নগর থানার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রেজাউল করিম রানা ও মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল (৪৫)।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে মোবাশ্বের রহমান এবং বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে শান্তিনগর থেকে মো. আজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর থেকে মো. বাবুল, রাত ২টার দিকে চন্দ্রিমা মডেল টাউন থেকে মো. শাহজালাল এবং রাত ১টা ৪৫ মিনিটে শেওড়াপাড়া থেকে মো. রেজাউল করিম রানাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির বিভিন্ন টিম।
একই রাতে, ভাষানটেক এলাকা থেকে সাবেক মেয়র কামাল হোসেন শেখ, বংশাল থেকে আসাদুল্লাহ শিপলু এবং মতিঝিল থেকে শাকিল আহমেদকে আটক করা হয়।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় লালবাগ এলাকা থেকে মো. রুহুল আমীন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে মো. হাবিবুর রহমান হাবিব এবং একই সময় বাড্ডা থেকে আসলাম চৌধুরী ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল বের করে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর পাশাপাশি দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।