যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ ইউজিসির

প্রকাশকালঃ ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৫০ অপরাহ্ণ ২৫৯ বার পঠিত
যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ ইউজিসির

 

দেশের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া উপাচার্য না থাকা ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে সতর্ক থাকতে বলেছে শিক্ষার্থীদের। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে শিক্ষার্থীরা নানা জটিলতায় পড়তে পারে। ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।


দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি। এর মধ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে ১০৩টি। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে ২৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত উপাচার্য নেই। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শর্ত অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট বছরের ভেতর তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে আসতে হবে। এই পদ্ধতিতে তাদের শিক্ষাদান করতে হবে। যারা পারবে না, তারা কিন্তু হারিয়ে যাবে। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।


ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস না থাকা, অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা আইনভঙ্গের কারণে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার সনদের কোনো বৈধতা নেই। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতেও সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।

ইউজিসি সচিব বলেন, ‘ইউজিসির ওয়েবসাইটে আমরা প্রকাশ করব কোন ইউনিভার্সিটির কী অবস্থান। কাদের কোন সাবজেক্ট অনুমোদিত। এই সতর্কীকরণ অতীতে যেভাবে আমরা করেছি, এ বছরও সেটি আমরা করব।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি বলছে, আইন না মানলে ইউজিসি যে ব্যবস্থা নেবে, সে বিষয়ে সমর্থন থাকবে। তবে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিলে সেটি আরও বেশি কার্যকর হয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, সুশাসনের সুবিধার্থে ইউজিসির বিভিন্ন কমিটি বা অন্য জায়গায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি একান্ত জরুরি প্রয়োজন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিভাগের অনুমোদন আছে কি না—সেটিও ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়ার আহ্বান মঞ্জুরী কমিশনের।