ঢাকা প্রেস নিউজ
নাফিজের আত্মত্যাগ স্বাধীনতার অসমাপ্ত যাত্রা..........
গত ৪ আগস্ট, ফার্মগেটের রক্তাক্ত রাস্তায় দেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন গোলাম নাফিজ। সবেমাত্র এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হওয়া এই তরুণের অকাল মৃত্যুতে গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সোমবার রাতে ফেসবুকে নাফিজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন।
নাফিজের বাবার কথা উদ্ধৃত করে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, “টুকরিতে করে নিয়ে ম্যানহোলে ফেলে দিতে চেয়েছিল, তখনো বেঁচে থাকা রক্তাক্ত নাফিজকে।” কয়েকবার রাবার বুলেট লাগার পরেও দেশের জন্য জীবন দিতে এগিয়ে গিয়েছিল নাফিজ। ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা, ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে।
একটি তরুণ স্বপ্নদ্রষ্টার বিদায়:
নাফিজ ছিলেন সবেমাত্র একটি স্বপ্ন দেখা শুরু করা তরুণ। একটি স্বপ্ন যেখানে সকলের জন্য সমান অধিকার, ন্যায়বিচার এবং সুযোগ থাকবে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, এই দেশের যুবকরা মিলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে পারবে। কিন্তু দেশের রাজপথে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো তাকে।
আত্মত্যাগের মূল্য:
আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লিখেছেন, নাফিজদের আত্মত্যাগ সফল হতেই হবে। যেই স্বপ্নের দেশের জন্য নাফিজের মতো হাজারো শহীদ অকপটে বুলেট নিয়েছে বুকে, তা বাস্তবায়ন হবেই। নাফিজের মৃত্যু একটি বড় ক্ষতি হলেও, তার আত্মত্যাগ অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
নাফিজের মৃত্যু আমাদের কাছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরে। কেন একজন তরুণকে এভাবে হত্যা করা হলো? আমরা কি সত্যিই একটি স্বাধীন দেশে বাস করছি? আমাদের স্বাধীনতার মূল্য কি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে আমাদের সকলকেই।
নাফিজের মৃত্যু একটি ব্যক্তিগত শোকের বাইরে গিয়ে একটি জাতীয় শোক। তার আত্মত্যাগ আমাদের সকলকেই দেশের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে। আসুন আমরা সবাই মিলে নাফিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করি।