সংবাদ সম্মেলনে তাঁর পাশেই ছিলেন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। যিনি বিসিবির বেতনভুক্ত ম্যাচ রেফারি। এই সংগঠনের সভাপতি নাঈমুর রহমানসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্যও বিসিবি পরিচালক। এটি স্বার্থের সংঘাত তৈরি করে কি না, এমন প্রশ্নই ছুটে গেল আইপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে ঢাকা সফরে আসা ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফিকা) সভাপতি লিসা স্টালেকারের কাছে।
দেবব্রত পাশে থাকাতেই কি না অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের সাবেক এই অলরাউন্ডার জবাব দিলেন ভারসাম্য রেখেই। তবে ফিকার প্রথম নারী সভাপতি এ-ও বললেন যে খেলোয়াড়দের সংগঠন স্বাধীন হলেই সেটি আদর্শ হয়, ‘দিনশেষে খেলোয়াড়দের সংগঠন এবং একটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। সেটি খেলার উন্নতির জন্যই। সঠিক জায়গায় সঠিক লোক থাকলে এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
তবে হ্যাঁ, আদর্শগতভাবে আপনি ক্রিকেটারদের স্বাধীন সংগঠনই চাইবেন। এটিই স্বাভাবিক এবং সেটি সব সময়ই সম্ভব।’ সেই সঙ্গে তিনি আরো যোগ করেছেন, ‘অতীতে আমরা দেখেছি যে স্বাধীন পরিষদই কাজ করেছে। তবে সব ক্ষেত্রে একই ব্যাপার প্রযোজ্য হবে না।
প্রথমত, সঠিক লোকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। স্বচ্ছতা ও মনখোলা মানসিকতা এবং একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’ সৌজন্য সফরে আসা স্টালেকারের সঙ্গে দেখা করার কথা আছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদেরও। তাতে রোমাঞ্চিত ফিকা সভাপতি অবশ্য দেখা হওয়ার আগেই ফোনে যোগাযোগ করেছেন নিগার সুলতানা ও জাহানারা আলমদের সঙ্গে।