পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে আবারও আলোচনায় এলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। এবার তিনি নিজ জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সরাসরি হত্যার হুমকির অভিযোগ তুলেছেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শনিবার দুপুরে পপি জানান, তার চাচাতো বোনের স্বামী তারেক আহমেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে তাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন। গত এক বছর ধরে হুমকি-ধমকির এমন মাত্রা বেড়েছে যে সম্প্রতি নিকট আত্মীয় মারা গেলেও তিনি খুলনায় যেতে সাহস পাননি।
পপি ঢাকা প্রেসকে বলেন....
‘১৯ নভেম্বর বড় চাচা কবির হোসেন মারা যান। খবর পেয়ে খুলনায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিই। বিষয়টি জানতে পেরে তারেক ফোন করে হুমকি দেয়— সেখানে গেলে আমাকে হত্যা করা হবে। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে যেতে পারিনি।’
বর্তমানে তিনি চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন এবং প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পপির স্বামী আদনান জানান,
২০০৭ সালে পপি তার চাচা কবির হোসেনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। দলিল থাকা সত্ত্বেও জমির দখল পাননি তিনি। জমিটি দখল করে রেখেছেন পপির চাচাতো বোন মুক্তা এবং তার স্বামী তারেক। জমিতে যেতে গেলেই নানাভাবে ভয় দেখানো হয়।
তিনি আরও জানান,
‘এর আগে বিষয়টি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছি।’
পপির অভিযোগ,
‘আগের সরকারের সময় স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকে ব্যবহার করে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে। বর্তমানে সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে একইভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তারেক। সে স্পষ্ট বলেছে, খুলনায় গেলে জীবিত ফিরতে পারব না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারেক আহমেদ চৌধুরী বলেন,
‘দুই শ্বশুর মারা গেছেন, পরিবারের কারও মানসিক অবস্থা ভালো নেই। পপি যেসব অভিযোগ তুলেছেন সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি তার পরিবারেরও তেমন কেউ না। বিষয়টি তার মা ও বোনের কাছে জানতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসেও একই তারেকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ আনেন পপির আরেক চাচা মিয়া বাবুল হোসেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন যে তারেক, যিনি একটি ব্যাংকের কর্মচারী, আপন ভাইজির জামাই হয়েও জমি দখলের সঙ্গে জড়িত।
পপি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও আইনের সহায়তা কামনা করেছেন।