এএফসি নারী এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বুধবার (২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের থুওয়ান্না স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-০ গোলে হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপে শীর্ষে উঠে এসেছে লাল-সবুজের মেয়েরা। এ জয়ের ফলে প্রথমবারের মতো মূল আসরে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।
ম্যাচের নায়ক ছিলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। দুটি গোলই এসেছে তার পা থেকে। প্রথম গোলটি করেন ম্যাচের ১৭তম মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ফ্রি-কিকটি মিয়ানমারের মানব-প্রাচীরে লেগে ফিরে আসলে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান তিনি। দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটে, নিশ্চিত করেন দলের জয়।
এর আগে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ৯ গোল করে নিজেদের জাল অক্ষত রাখা এই দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশচুম্বী।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে আগামী শনিবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান। যাদের মিয়ানমার ৮-০ গোলে হারিয়েছিল। ওই ম্যাচে জয় কিংবা ড্র করলেই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলবে। তবে হেরে গেলে এবং মিয়ানমার যদি বাহরাইনকে হারাতে পারে, তবে গোল ব্যবধানে চূড়ান্ত হবে কে যাবে অস্ট্রেলিয়ায়।
অবশ্য মিয়ানমারকে হারানো মোটেও সহজ ছিল না। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে মিয়ানমার ৫৫তম, বাংলাদেশ ১২৮তম। আবার মিয়ানমার ছিল ঘরের মাঠে খেলছে। ২০১৮ সালের অলিম্পিক বাছাইয়ে তাদের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই পরাজয়ের স্মৃতি ভুলে এবার আত্মবিশ্বাস ও দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়েছে পিটার বাটলারের দল।
আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে এএফসি নারী এশিয়া কাপের আসর। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও আগের আসরের সেরা তিন দল—চ্যাম্পিয়ন চীন, রানারআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান—সরাসরি খেলবে মূল পর্বে। বাকি আট দল নির্ধারিত হবে বাছাইপর্ব থেকে।
এই বাছাইপর্বে ৩৪টি দলকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে মূল পর্বের টিকিট। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে জয় বা ড্র-ই যথেষ্ট ইতিহাস গড়ার জন্য।