মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:-
মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে মাদক অসামাজিকতার অভিযোগে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ২৫জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার সকালে মুক্তারপুর নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এতে ভাইরাল ভিডিও দেখে সনাক্ত হও নারীদের মারধর করা নেহাল আহমেদ জিহাদের নামসহ অজ্ঞাত ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম মামলা রুজু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এঘটনায় তৎপরতা চলছে বলে জানান তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় দায়ের হয়েছে। এতে যৌন নিপীড়ন, বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ, মারধর করে ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুরে নেহাল আহমেদ জিহাদ সদর থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। মামলার পর ওই মামলায় রোববার জিহাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার যোগনীঘাট এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।
প্রসঙ্গত তিনি বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এম ভি ক্যাপ্টেনে স্থানীয়দের সাথে সংঘাত ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় ২ নারীকে প্রকাশ্যে মারধর সহ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি ভাইরাল হলে আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়। লঞ্চে থাকা তরুন তরুনীরা জানায় ঢাকা থেকে লঞ্চে করে ব্যাচেলর পার্টিতে বের হয়েছিলো অর্ধশতাধিক তরুন-তরুনী। যাদের অধিকাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক।