রোগী ভর্তি ৩৫০ জন, খাবার পায় ১০০ জন

প্রকাশকালঃ ২৯ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ ৫০১ বার পঠিত
রোগী ভর্তি ৩৫০ জন, খাবার পায় ১০০ জন

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রতি দিন গড়ে ৩৫০ জন রোগি ভর্তি থাকে। কিন্তু খাবার পায় ১০০ রোগী। বাকি রোগীদের বাড়ি থেকে খাবার এনে বা হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হয়। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও ওষুধের অভাব রযেছে। এতে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ২০২১ সালের ২৩ জুন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ১০০ বেড থেকে ২৫০ বেডে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু ২৫০ বেড হাসপাতালের লোকবল নিয়োগ করা হয়নি। বর্ধিত চাহিদা মত ডাক্তার-নার্স নিয়োগ হয়নি। ১০০ বেডের লোকবল দিয়ে এটি চালানো হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাশের চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরা জেলার রোগীরাও এসে থাকে। প্রতি দিন আউটডোরে ১ হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে।  তাদের মধ্য থেকে যাদের রোগ জটিল তাদের ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩৫০ রোগী ভর্তি থাকে। কোনো কোনো দিন এর চেয়েও বেশি রোগী ভর্তি থাকে। বেড না পাওয়ায় ওয়ার্ডের ভেতর মেঝেতে ও বারন্দায় বাড়ি থেকে বেড এনে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের হাসান জানান, বেড না পেয়ে বারন্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে খাবার দেওয়া হয় না। বাড়ি থেকে আনা খাবার খান। দোগাছি গ্রামের আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি হোটেল থেকে কিনে আনা খাবার খান। প্রয়োজনীয় সব ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় না। বাইরের দোকান থেকে কিছু ওষুধ কিনতে হয়। শৈলকুপা উপজেলার আগুনিয়াপাড়া গ্রামের শমসের মণ্ডল ও হরড়া গ্রামের খিলাফত হোসেনও একই ধরনের কথা বলেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৫০ বেডে উন্নীত হলেও ১০০ বেডের সেট আপ দিয়ে হাসপাতাল চালানো হচ্ছে। ডাক্তারের পদ আছে ৬৩টি। ডাক্তার আছেন ৩১ জন। ৩২ জন ডাক্তারের পদ শূন্য আছে।  অর্থপেডিক, মেডিসিন, সার্জারি, ইএনটি, প্যাথলজিসহ কয়েকটি বিভাগে সিনিয়র কনসালট্যান্ট নেই। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতে হয়। নার্সের পদ আছে ৯১টি। আছেন ৬৭ জন। ২৪ জন নার্সের পদ শূন্য আছে। তৃতীয় শ্রেণির ২৩টি পদ ও চতুর্থ শ্রেণীর  ৯টি পদ শূন্য আছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১২জন কর্মরত ছিল। জুলাই থেকে  তাদের কর্ম বর্ধিত করা হয়নি। ফলে তারা আর কাজে আসছেন না।

হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ  রিয়াজুল ইসলাম জানান, ডাক্তার ও লোকবল নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। খাবারের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীদের সেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে না।