গরমের দিনে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এর ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ সময় প্রচুর পানি পান করা জরুরি। তবে পানি খাওয়ার সঙ্গে খাবার স্যালাইনও খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা পূরণ হবে। পানিশূন্যতা রোধ করতে এবং শরীরের লবণ-জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে খাবার স্যালাইন খাওয়া খুবই উপকারী। শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হলে, পানি শূন্যতা তৈরি হয়। এতে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। এ ধরনের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে খাবার স্যালাইন।
খাবার স্যালাইন কিনে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঘরে আধা লিটার পানির মধ্যে এক মুঠো গুড় ও এক চিমটি লবণ দিয়ে স্যালাইন তৈরি করা যায়। প্রথমে আধা লিটার পানি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। পরে এই পানিতে এক চিমটি লবণ ও এক মুঠো গুড় মিশিয়ে ছেঁকে নিন। তৈরি হয়ে গেল খাবার স্যালাইন।
সতর্কতা কোনোভাবেই পানির পরিমাণ কম-বেশি করা যাবে না, এক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল তো পাওয়া যাবেই না, বরং শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ষতিও হতে পারে। কোনোভাবেই স্যালাইনে পানি ছাড়া অন্য কিছু যেমন দুধ, স্যুপ বা ফলের জ্যুস বা সফট ড্রিংকসও মেশানো যাবে না। এমনকি চিনিও মেশানো যাবে না।
শিশুদের ক্ষেত্রে স্যালাইন কাপে করে খাওয়ানোই ভালো, কারণ ফিডিং বোতল পুরোপুরি পরিষ্কার করা ঝামেলা হয়ে যায় অনেক সময়। গরম পানিতে স্যালাইন বানানো যাবে না। স্যালাইনের পানিও গরম করা যাবে না। স্যালাইন বানানোর পর ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্যালাইন ভালো থাকে। অর্থাৎ বানানোর ১২ ঘণ্টা পর আর সেই স্যালাইন খাওয়া যাবে না, সেটি ফেলে দিতে হবে।