এবছর হজযাত্রীদের পরিবহন সেবায় ২৭ হাজারের বেশি বাস থাকবে। এসব বাসের মাধ্যমে হজের স্থানগুলোতে যাত্রীদের আনা-নেওয়া করা হবে। মক্কার হারাম সীমানার যেকোনো স্থানে এসব বাস করে হাজিরা চলাচল করতে পারবেন। দেশটির পরিবহন বিষয়ক কর্তৃপক্ষের সূত্রে আরব নিউজের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পরিবহন বিভাগ জানিয়েছে, মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে তিন হাজার পাঁচ শ বাস করে মুসল্লিদের আনা-নেওয়া করা হবে। এসব বাস মক্কার হারাম সীমানার ১৬টি রুটে চলাচল করবে এবং ১১টি স্টেশনে থামবে। তা ছাড়া হজযাত্রীদের পরিবহনে মক্কার বিভিন্ন অঞ্চলে ৩৫৫টি বাস এবং মদিনায় ২৭টি বাস থাকবে।
বিবৃতিতে ভ্রমণকালীন নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করে বলা হয়, বারে করে যাত্রাকালে ধূমপান না করা, অনির্ধারিত এলাকায় না খাওয়া, মোবাইলে উচ্চৈস্বরে কথা না বলাসহ অন্যদের জন্য কষ্ট হয় এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কোনো বাস তিন ঘণ্টার বেশি যাত্রায় এক ঘণ্টার বেশি বিলম্ব করলে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তা ছাড়া আর এমন কিছু ঘটলে যাত্রীদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে হজ করতে সৌদি আরবে প্রায় ১০ লাখ হজযাত্রী পৌঁছেছে। দেশটির পাসপোর্ট বিভাগ জানিয়েছে, গত ২ জুন পর্যন্ত সৌদি আরবের আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী আকাশপথে দেশটিতে প্রবেশ করেন। স্থলপথে ৩৭ হাজার ২৮০ জন এবং সমুদ্রপথে দুই হাজার ৩৯৯ জন পৌঁছেন। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার ৭৯৯ জন ১৫৬টি ফ্লাইটে সৌদি আরব পৌঁছেন। গত ৯ মে থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয়।
আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সারা বিশ্বের ২০ লাখের বেশি মুসলিম হজ পালন করবেন বলে আশা করছে সৌদি আরব।