ঢাকা প্রেস,স্টাফ রিপোর্টার:-
পলাশবাড়ী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতি -২......
গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখকদের হাতে জিম্মি হয়ে পরেছে লক্ষ লক্ষ ক্রেতা বিক্রিতা।সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মুল্য দিয়ে করতে হচ্ছে দলিল সম্পাদন।অফিসটি যেন ঘুষ বানিজ্যের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিনত হয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্রজনতার অভুত্থানের পর কথিত দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রানা শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। তার আসন অলঙ্কিত করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওই কমিটির সহ সভাপতি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন পলাশবাড়ী উপজেলার সব চেয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় স্থল হচ্ছে এই দলিল লেখক সমিতি।তিনি আরো বলেন সরকার নির্ধারণ মুল্যের চেয়ে কয়েক গুন বেশি মুল্য দিয়ে দলিল সম্পাদন করতে হয়।এই দলিল খরচের মুল্য নির্ধারন করে থাকেন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির নেতারা।
কিশোরগাড়ী গ্রামের নওশা মিয়া বলেন দলিল সম্পাদনের জন্য সরকারি নির্দেশনা জন সম্মুখে সাইনবোর্ড আকারে প্রকাশ করার কথা থাকলে ও তা করা হয় নি।উল্টো হলফ নামা বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
প্রতি বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যালয়ে এই অতিরিক্ত টাকার ভাগ বাটোয়ারা করা হয়।কখনো কখনো মাসের শেষ বৃহস্পতিবার এই টাকা ভাগ করা হয় বলে সমিতির কতিপয় সদস্যরা জানান।
পলাশবাড়ী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে ভুক্তভোগীরা,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।