প্রথম জটিল রোগের সফল অপারেশন হয়েছে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

প্রকাশকালঃ ২০ জুলাই ২০২৩ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ ২২০ বার পঠিত
প্রথম জটিল রোগের সফল অপারেশন হয়েছে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

ক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্জারি ও অর্থোপেডিক সার্জারির মেজর অপারেশন শুরু হয়েছে। বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে কাজি ফরিদুল আলম (৬০) নামের এক রোগীর জটিল বারসাইটিস (বারসা প্রদাহ) রোগের সফল অপারেশনের মধ্য দিয়ে হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারির মেজর অপারেশনের যাত্রা শুরু হয়।

অপারেশন টিমে ছিলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. সুরজিত ঘোষ, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া) ডা. সৌমেন বড়ুয়া। তাদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে হিসেবে ছিলেন ডা. সামিয়া আয়েশা ফারজানা ও সিস্টার ইনচার্জ শামীমা আক্তার।

এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ, ডা. কাজী ফারহানা নূর, ডা. আল মামুন হামিদ।


হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলা সিভিল সার্জনের অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করে প্রথমবারের মতো হাসপাতালে এ রোগীর জটিল অপারেশনটা করা হয়েছে। উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মির্জি বাড়ির কাজী ফরিদুল আলম জটিল বারসাইটিস (বারসা প্রদাহ) রোগে ভোগছিলেন অনেক দিন ধরে। অর্থের অভাবে তিনি অপারেশনটি করতে পারছিলেন না।

গত সপ্তাহে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসলেই তাকে হাসপাতালের সকল চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড তার চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তাকে অবজারভেশনে রেখে বুধবার দুপুরে তার অপারেশন করা হয়েছে।

রোগীর ছোট মেয়ে কাজি তানজিনা আকতার বলেন, আমার বাবা কয়েক বছর ধরে এ জটিল রোগে ভুগছিলেন। অর্থের অভাবে তার সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি।


পাঁচ মাস আগে বাবার পায়ে ছোটখাটো আরো একটি অপারেশন করা হয়েছিল এ হাসপাতালে। তখন থেকেই বাবার প্রতি চিকিৎসকদের সহমর্মিতা বাড়তে থাকে। এরপর চিকিৎসকেরা সবাই বাবার আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে এগিয়ে এলেন মেজর অপারেশনটি করার। এজন্য আমাদের পরিবার হাসপাতালের সকল চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা এভাবে এগিয়ে না এলে বাবার এ অপারেশনটি প্রাইভেটভাবে করা সম্ভব হতো না।

এ ব্যাপারে ডা. সৌমেন বড়ুয়া বলেন, এটি পটিয়াবাসী ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের জন্য একটি নতুন মাইলফলক। এভাবে নিয়মিত অর্থোসার্জারির অপারেশন করা হবে হাসপাতালে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের জটিল অপারেশন সাধারণত উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে হয় না। আমাদের অর্থোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও সহযোগী সকল চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত ঠিম এ উদ্যোগ নিয়ে সাহস করে নিজেদের খরচে সকল সরঞ্জাম কিনে এগিয়ে এসেছেন এবং সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন জটিল এ অপারেশন। তাই সকলকে সার্জারি এবং অর্থোপেডিক সার্জারির প্রয়োজনীয় শল্য চিকিৎসা গ্রহণের আহ্বান জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ কর্মকর্তা।