ইংল্যান্ডে সপ্তাহে ৪ কর্মদিবস, কর্মীকে নিজেদের পছন্দমতো সময়ে কাজ করার সুবিধা
প্রকাশকালঃ
১৩ জুলাই ২০২৪ ০৪:২৫ অপরাহ্ণ ৭৯০ বার পঠিত
ইংল্যান্ডে সপ্তাহে চার দিনের অফিস পরীক্ষামূলকভাবে চলছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় চলা কর্মদিবসের এ রীতিতে এবার কর্মীরা আরও সুযোগ পেতে চলেছেন। কর্মীরা এবার নিজেদের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। শত শত ব্রিটিশ কর্মীকে নিজেদের পছন্দমতো সময়ে কাজ করার সুবিধা দেওয়া হবে। মূলত সপ্তাহে চার কর্মদিবসের ক্যাম্পেইনের নতুন পাইলট প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পাইলট প্রকল্পের নতুন এ উদ্যোগের সময় ছয় মাস। এদিকে ইতোমধ্যেই ছয়টি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে নতুন এ উদ্যোগে। এ সংক্রান্ত প্রচারাভিযানের (ক্যাম্পেইন) পরিচালক জো রাইলে জানিয়েছেন, প্রকল্পটিতে ৫০টি কোম্পানি থেকে ৩০০ জন কর্মীকে যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসন ও বিভিন্ন বড় বড় ফার্ম এ প্রকল্পে সমর্থন দিয়েছে। আবার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ট্রায়ালের পর সপ্তাহে চার কর্মদিবসের সিদ্ধান্ত থেকে সরেও এসেছে।
জো রাইলে বলেন, শত শত ব্রিটিশ কোম্পানি ও একটি লোকাল কাউন্সিল সপ্তাহে চার কর্মদিবস চালু করেছে। এতে করে কর্মী ও মালিক কারই ক্ষতি হচ্ছে না। ক্যাম্পেইনে গবেষণা কাজে সহযোগিতা করছে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি ও বোস্টন কলেজ। নতুন ট্রায়ালে কমিউনিটি হাউজিং প্রতিষ্ঠান ব্রন এফন যুক্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে কোম্পানির পরিচালক উনিজ মাথুর বলেন, সপ্তাহে কর্মদিবস কমিয়ে আনার আনার ক্ষেত্রে কোম্পানির পারফরম্যান্সে আমরা মুগ্ধ। একই সঙ্গে কর্মীদের সুস্থতা নিশ্চিতেও এটি কার্যকরী। তিনি এটিকে কর্মীদের কর্মজীবনের ভারসাম্য উন্নত করর সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
৬১টি কোম্পানি মোট দেড় বছরের ট্রায়াল পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে ৫৪টি কোম্পানি সপ্তাহে চার দিনের কর্মদিবসের রীতি গ্রহণ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিস সময়ের পরিবর্তে যুক্তরাজ্য অফিস সময় চার দিনে নামিয়ে এনে অফিস শুরু করেছে ২০২২ সালে। এদিকে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে করা এক জরিপে দেখা গেছে, চার দিন অফিস সময় চালু করার ফল অত্যন্ত ইতিবাচক হচ্ছে।
সপ্তাহে চার দিন অফিস সময় চালুর এই পাইলট প্রকল্পে যুক্তরাজ্যের বিপণন সংস্থা থেকে শুরু করে আর্থিক সংস্থা, শিক্ষা পরিষেবা, মাছ, চিপের দোকানসহ ৬০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৯২ শতাংশ নিয়োগকর্তা বলেন, তাঁরা এই প্রকল্পের পর সংক্ষিপ্তভাবে এই কর্মসপ্তাহ চালিয়ে যাবেন। আর ৩০ শতাংশ বলেন, তাঁরা এই পরিবর্তন স্থায়ী করবেন। এসব অফিসের প্রায় ৩ হাজার কর্মীর মধ্যে ৭১ শতাংশ বলেন, চার দিন অফিস চালু হওয়ায় তাঁদের চাপের মাত্রা কমে এসেছে। শারীরিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতারও উন্নতি হয়েছে।