ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
অর্থনৈতিক সংকট আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার শীতবস্ত্র কেনা নিয়ে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এবার আগে ভাগেই উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত নামতে শুরু হয়েছে।
নভেম্বরের মধ্যবর্তীতেই শীতের প্রভাবে পড়েছে উত্তরের দারিদ্র্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন।
এদিকে মাঝরাত থেকে টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশিরের ফোঁটা। সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সেই সঙ্গে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের সময় মতো কাজে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে। শীত আসায় ভোগান্তিতে বেশি পড়ছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে আর ভোর রাত থেকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে সূর্য উঠার সাথে সাথে ঠান্ডা কমতে শুরু করে।
কয়েকদিন ধরে উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় শীতের দাপট বাড়ছে। এতে ঠান্ডা জনিত রোগে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তেমনি বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, কোল্ড ডায়রিয়ার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ত্বকের সমস্যা। তীব্র কুয়াশার কারণে যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। দিনের বেলায় রাস্তায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। শীত পড়লেও মানুষের হাতে টাকা-পয়সা না থাকায় শহরের স্বল্প দামে শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতে নেই তেমন ভিড়। দেশের বৃহৎ চরাঞ্চল বেষ্টিত কুড়িগ্রামে প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক চরাঞ্চলসহ নদীর তীরবর্তী মানুষের জীবন কাটছে দুর্ভোগে।
দেশের দারিদ্র্যপীড়িত জেলায় এমন হাজারো নিম্ন আয়ের মানুষজনকে শীত মোকাবেলা করতে হচ্ছে কষ্ট করে। শীত মোকাবেলায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষকে নাকাল হতে হচ্ছে। ঠিক মতো কাজ না জোটায় সংসার চালানো দায়। শীতবস্ত্র কেনা কিছুটা স্বপ্ন দেখার মতো। শীতে শ্রমজীবী মানুষের বাড়ছে দুর্দশা। আয় কমে যাওয়ায় হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ পুরাতন কাপড় বা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের ছত্রপুর এলাকার ছবরুল মিয়া বলেন, কয়েকদিন থেকে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। সাথে ঠান্ডাও অনেক অনুভূত হচ্ছে। এখনই যে কুয়াশা দেখছি, আরও তো দিন আছে।
ওই এলাকার দিনমজুর নামদেল আলী বলেন, গতকালের চেয়ে আজ কুয়াশা আরো বেশি। সকালে কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যায় না। আমরা যারা দিন করে দিন খাই, আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫-২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। তবে নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।