শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য মায়ের স্পর্শ: মালিশের অপার ক্ষমতা

প্রকাশকালঃ ১৪ আগu ২০২৪ ০৪:৩০ অপরাহ্ণ ৫২৫ বার পঠিত
শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য মায়ের স্পর্শ: মালিশের অপার ক্ষমতা

ঢাকা প্রেস নিউজ


শিশুরা কথা বলতে না পারলেও, তাদের শরীরের ভাষা বুঝতে হবে। কান্না, অস্থিরতা, বা ঘুম না আসা—এসবই তাদের অস্বস্তির ইঙ্গিত। এই সময় মায়ের স্পর্শই তাদের সবচেয়ে বড় শান্তি। আর এই স্পর্শের একটি দারুণ মাধ্যম হল মালিশ।

 

কেন শিশুকে মালিশ করা জরুরি?

ঘুমের রানি আনতে: মায়ের হাতের স্পর্শ শিশুকে নিরাপদ ও আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। মালিশের ফলে শরীরের টেনশন কমে, স্ট্রেস হরমোন কম নিঃসৃত হয়, এবং স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয়। ফলে শিশু দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে এবং তার ঘুমও ভালো হয়।

হজমের সমস্যা দূর করতে: কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস—এসব শিশুদের সাধারণ সমস্যা। নিয়মিত মালিশ পেটের পেশিকে শক্তিশালী করে, হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে: মালিশ শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরের প্রতিটি কোষ পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি পায় এবং শিশুর বৃদ্ধি ভালো হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: নিয়মিত মালিশ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সাধারণ অসুখ থেকেও শিশুকে রক্ষা করে।

শারীরিক ও মানসিক বিকাশ: মালিশ শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে। মায়ের স্পর্শ শিশুকে নিরাপদ এবং ভালোবাসা অনুভূতি দেয়, যা তার মানসিক বিকাশের জন্য খুবই জরুরি।
 

মালিশের সময় কিছু টিপস:

তেল: অতিরিক্ত ঘন বা হালকা তেল ব্যবহার না করে, শিশুর ত্বকের জন্য উপযোগী তেল ব্যবহার করুন।

সময়: শিশু যখন খুশি এবং আরামদায়ক থাকে, সেই সময় মালিশ করুন।

হালকা হাতে: খুব জোরে চাপ দিয়ে মালিশ না করে, হালকা হাতে মালিশ করুন।

পরিবেশ: শান্ত এবং আরামদায়ক পরিবেশে মালিশ করুন।
 

মনে রাখবেন:

যদি আপনার শিশু কোনো রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে মালিশ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
 

শিশুর জন্য মায়ের স্পর্শ একটি মহান উপহার। মালিশের মাধ্যমে আপনি আপনার শিশুকে এই উপহারটি দিতে পারেন।