দেশের গণতন্ত্র এখন গোরস্তানে এবং কথা বলার স্বাধীনতা শ্মশানে: রিজভী

প্রকাশকালঃ ০৫ জুন ২০২৪ ০৫:১৪ অপরাহ্ণ ১২১ বার পঠিত
দেশের গণতন্ত্র এখন গোরস্তানে এবং কথা বলার স্বাধীনতা শ্মশানে: রিজভী

দেশের গণতন্ত্র এখন গোরস্তানে এবং কথা বলার স্বাধীনতা শ্মশানে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন,  এরা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যেতে চায় যে গণতন্ত্র বলে এ দেশে আর কিছু থাকবে না। তাই গণতন্ত্র এখন গোরস্তানে, কথা বলার স্বাধীনতা এখন শ্মশানে, মানুষ নির্ভয়ে কোনো কথা বরতে পারে না। এ পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে এ দেশের মানুষকে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার মোহাম্মদপুরে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

রিজভী আরো বলেন, আমরা একটা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে এ দেশে বসবাস করছি। ভিন্নমত দমন করা হচ্ছে। যারা সত্য কথা বলবেন, তাদের যেতে হয় কারাগারে। তাদের সরকারি নিপীড়নের শিকার হতে হয়। আজকে আমাদের অনেক নেতাকর্মী হারিয়ে গেছেন। তারা কোথায় আছেন কেউ জানে না, তাদের পরিবারও জানে না। এভাবে অসংখ্য গুম করে, জনগণকে ত্যাজ্য করে ভোটারদের দূরে সরিয়ে রেখে নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ডামি সরকার, দখলদার সরকার ক্ষমতায় আছে।

 

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, গরিব মানুষ তাদের ফসলি জমি বিক্রি করে সন্তানকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন ভালোভাবে বসবাস করার আসায়। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাওয়ার আশায়। আজ ১৭ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক যেতে পারেননি। তারা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের ঘটি-বাটি ও জমি বিক্রি করে যেতে না পেরে কেউ ভৈরব রেলসেতুতে আত্মহত্যা করেছেন, কেউ কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছেন। এটাই সরকারের অবদান।


 
রিজভী বলেন, প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আলুর দাম এক মাস আগে ৩০ টাকা ছিল। এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। এক হালি ডিম ৫৫ টাকা, পাড়া-মহল্লার মধ্যে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এক ডজন ডিমের দাম ১৬০ টাকা। সরকার যদি নির্বাচিত না হয়, জনগণের ভোটে না হয়, তাহলে সে সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা করে না, কল্যাণ কামনা করে না। তারা চিন্তা করে তারা কিভাবে টাকা পাচার করবে, কিভাবে তারা জনগণের টাকা লুট করবে। খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মাহবুবুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।