বাগেরহাটের দুবলায় শুরু হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি উৎপাদন মৌসুম। সোমবার থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চারটি চরে হাজার হাজার জেলে মৎস্য আহরণ ও শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণে ব্যস্ত থাকবেন।
এই মৌসুমে সরকার সাড়ে সাত কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এরই মধ্যে জেলে-বহদ্দাররা সুন্দরবন বিভাগের অনুমতি নিয়ে চরে যাওয়া শুরু করেছেন।
দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, জেলেরা নানা সমস্যার মধ্যেও এই কাজে নিয়োজিত থাকেন। বিশেষ করে নিরাপদ পানির অভাব, চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
সরকার এই সমস্যা সমাধানে কিছু উদ্যোগ নিলেও তা পর্যাপ্ত নয়। র্যাব একটি পানির প্লান্ট নির্মাণ করেছে, তবে তা জেলেরদের চাহিদা মেটাতে পারছে না।
জেলেরা চান সরকার যেন শুঁটকি মৌসুমে চরগুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ এবং মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করে।
সুন্দরবনের পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মো. খলিলুর রহমান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।
শুঁটকি মৌসুম সুন্দরবনের অনেক পরিবারের জন্য আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তবে, এই পেশা জড়িত অনেক চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি।
সুন্দরবনের দুবলায় শুঁটকি মৌসুম শুরু হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তবে, জেলেরা যাতে নিরাপদে এবং সুস্থভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।