বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাস ডুবি ঘটনা বাল্কহেডের চালক মাস্টারসহ গ্রেপ্তার ৬
প্রকাশকালঃ
১৮ জুলাই ২০২৩ ০১:১১ অপরাহ্ণ ১৯৭ বার পঠিত
রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী ওয়াটার বাসটি গতকাল সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় গত রবিবার রাতে ডোবার পর প্রায় ১২ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওয়াটার বাসটি তীরে টেনে তোলা হয়। এ ঘটনায় বাল্কহেডের চালক, মাস্টারসহ ছয়জনকে সদরঘাট এলাকার আশপাশে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এদিকে ওয়াটার বাস ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন তরুণ ও দুজন পুরুষ রয়েছেন। এ ছাড়া জীবিত আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওয়াটার বাসটি উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিআইডাব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম। পরে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে ওয়াটার বাসটি তীরে টেনে নিয়ে আসে রুস্তম। তীরে আনার পর ওয়াটার বাসটিতে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।
গ্রেপ্তার ৬ জন
বাল্কহেডের মাস্টার শরিফুল ইসলাম (৩৫), চালক আনসার (৩৭), সুকানি সজিব সরদার, লস্কর সিয়াম (২০) ও মো. সফিউল গাজী (২২) ও মাসুদ মুন্সি (৪৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান নৌ পুলিশের ঢাকা বিভাগের এএসপি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম।
নিখোঁজ যুবকের খোঁজে
এদিকে নুহিন (২২) নামের এক তরুণকে খুঁজছেন তাঁর নানি শামসুন্নাহার। তিনি বলেন, ‘নুহিন ওয়াটার বাসের ভেতরেই ছিল। তার সঙ্গে আমাদের শেষ কথা হয়েছে ও যখন ওয়াটার বাসে ওঠে তখন। এরপর তার আর খবর নাই। এখন যদি অন্তত লাশটা পেতাম, মাটি দিতে পারতাম।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বলেন, ডুবে যাওয়া বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে যে আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এরপর আর কাউকে পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কোনো মরদেহ ভেসে উঠলে বা ভেসে ওঠার তথ্য পেলে উদ্ধার তত্পরতা চালানো হবে।
সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আব্দুল মালেক বলেন, ওয়াটার বাসটি তোলার পর সেখানে কোনো মরদহ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া নিখোঁজের কোনো তথ্য না থাকায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কোথাও কোনো লাশ ভেসে উঠতে পারে, এই বিবেচনায় নদীতে টহল অব্যাহত আছে।