নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, তারা এমন কোনো নির্বাচন করতে চান না, যেটা নতুন করে দেশকে একটা সংকটের মধ্যে ফেলবে। তাঁরা মনে করেন, ভালো নির্বাচন করা তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, "আমরা এমন কোনো ইলেকশন করতে চাই না, যেটা নতুন করে দেশকে একটা সংকটের মধ্যে ফেলে। আমরা চাই, একটা ইলেকশন হবে, সরকার যে ফর্ম (গঠন) করবে, সেই সরকার স্থায়ী রূপ নেবে। যখনই সরকার অস্থায়ী অবস্থায় চলে যায়, দেশ তখন বিপর্যয়ের মধ্যে চলে যায়। এই সেন্স থেকে হয়তো আমাদের মাথায় এসেছে, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন করব। আন্তর্জাতিক চাপ আমাদের অন্য কিছু না বা অন্য বিষয়ই না। কোনো দিক থেকে কোনো চাপ না।"
রাশেদা সুলতানার এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন একটি স্থিতিশীল সরকারের ভিত্তি তৈরি করে। একটি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ফেলে দিতে পারে।
রাশেদা সুলতানা আরও বলেছেন যে তারা চান একটা ইলেকশন হবে, সরকার যে ফর্ম (গঠন) করবে, সেই সরকার স্থায়ী রূপ নেবে। এই কথাটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি স্থিতিশীল সরকার দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। একটি অস্থির সরকার দেশকে অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
রাশেদা সুলতানা বলেছেন যে যেখানেই অনিয়ম হবে, সেখানেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে, প্রয়োজনে সেই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে দেওয়া হবে। এই কথাটিও অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন যে নির্বাচনে কোনো অনিয়ম না হয়। নির্বাচন কমিশন যদি অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়, তাহলে তা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
রাশেদা সুলতানা বলেছেন যে ভোটের মাঠ এখন ইসির নিয়ন্ত্রণে। ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সুন্দর, সুষ্ঠুভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে বলে তাঁরা আশা করছেন। এই কথাটি শুনে আমরা আশাবাদী হই। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশনের এই আশা সত্য হবে।
আমরা নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করি যে তারা যেন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে। তারা যেন একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেয়।
রাশেদা সুলতানা যেসব কথা বলেছেন, সেগুলো থেকে আমরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিয়ে আশাবাদী হতে পারি:
আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে এবং একটি সুষ্ঠ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেয়।