উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (IIUC)-এর কোরআনিক সায়েন্স অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হযরত মাওলানা ড. লুৎফুর রহমান আজাহারী বলেন, “সঠিক দিকনির্দেশনা ও আদর্শিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ গঠনে এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন-নূর ইসলামিক একাডেমি সীতাকুণ্ডের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক সংযোজন।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কার্যক্রমের সূচনা হয়। পরে হামদ, নাত ও ইসলামী সংগীত পরিবেশিত হয়। উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন তাহমীদুল হক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষা অনুরাগী মাওলানা তাওহীদুল হক চৌধুরী। তিনি আন-নূর ইসলামিক একাডেমির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সীতাকুণ্ডে একটি আদর্শ ও যুগোপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাকে সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন।
প্রধান আলোচক হিসেবে আন-নূর ইসলামিক একাডেমির প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি মো. নাঈম হোসাইন প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও শিক্ষাদর্শন তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম চৌধুরী, সীতাকুণ্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দিদারুল আলম, সীতাকুণ্ড কামিল এমএ মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. আনোয়ার হোসাইন, অধ্যাপক এখলাছ উদ্দীনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তি, শিক্ষানুরাগী, সাংবাদিক, অধ্যাপক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। তারা আন-নূর ইসলামিক একাডেমির সার্বিক সফলতা ও সীতাকুণ্ডবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ আয়োজন সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়।