কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে গত তিন দিনে মধ্যকার্তিকে টানা বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে রোপা আমনের ধান নুয়ে পড়েছে। এতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টি ও বাতাসের প্রভাবে জমিতে পানি জমে গেছে এবং কাঁচা ও আধাপাকা ধানের শীষ হেলে পড়েছে। কিছু জমির ধান ইতিমধ্যেই পেকে গেছে, আর কয়েকদিনের মধ্যেই কৃষকের ঘরে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
নন্দনপুরের সবেদ আলী, পৌরসভার পুরাতন মমিনগঞ্জ এলাকার আবু আব্দুল্লাহ, আব্দুর রশিদ, আব্দুল জলিল, বাবলু মিয়া, খলিল মিয়া, নুরনবী মিয়া, আখতার হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক ও আশরাফ আলীসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অসম সময়ে বৃষ্টিতে তাদের ধান হেলে পড়েছে। বৃষ্টি না কমলে পুরো ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই দিন কেটে যাচ্ছে আকাশের দিকে তাকিয়ে, দুশ্চিন্তায়।
কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদারের দেলবর হোসেন, নুর হোসেন, সোহেল মিয়া ও অন্যান্য কৃষকও ফসল ঠিকঠাকভাবে ঘরে উঠবে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। শেষ মুহূর্তে ফসল নষ্ট হওয়ার ভয়ে তারা ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ২৪,৩৬০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কৃষক ২৪,৩৬৫ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করেছেন। অনুকূল আবহাওয়া এবং নিয়মিত পরিচর্যায় ফসলের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় সব জমিতে ধানের শীষ বের হয়েছে এবং ধান শক্ত হওয়ার পথে রয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় মোন্থারের প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপে গত ২৯ অক্টোবর থেকে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি ও বাতাস চলছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধানের গাছ নুয়ে পড়েছে। বৃষ্টি যদি কয়েকদিন স্থায়ী হয়, তবে জমিতে পানি জমতে পারে এবং হেলে পড়া ধানের শীষ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, “কিছু জমির ধান হেলে পড়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, ধান তুলে আঁটি বেঁধে দাঁড় করান যাতে ক্ষতি কমানো যায়।”