এম পি হোক আর যেই হোক মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনিয়ম রোধে কঠোর ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী

প্রকাশকালঃ ০১ জুন ২০২৪ ০৮:৩৭ অপরাহ্ণ ১৮৬৩ বার পঠিত
এম পি হোক আর যেই হোক মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনিয়ম রোধে কঠোর ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী

ঢাকা প্রেসঃ
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ঘোষণা করেছেন যে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অনিয়মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, "আমরা এজেন্সি চিনি মালিক যেই হোক। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সবকিছু তদন্ত হবে। এমপি জানি না, চিনি না, রিক্রুটিং এজেন্সি চিনি। দায়ী হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"  মালয়েশিয়া শ্রমবাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে চক্র গঠন করে ব্যাপক অনিয়ম ও হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। চারজন সংসদ সদস্যের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী এই প্রতিশ্রুতি দেন। আজ রোববার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী।

 

অভিযোগ তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান বলেন, "যে বা যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলবে এবং সরকার এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "সিন্ডিকেটে (চক্র) বিশ্বাস করি না। যে দেশ কর্মী নেবে, তারা যদি তাদের পছন্দের রিক্রুটিং এজেন্সি দিয়ে কর্মী নিতে চায়, সেটা তাদের বিষয়। সরকার চায়, সবার মাধ্যমে কর্মীরা বিদেশে যাক।"

প্রতিমন্ত্রী যখন কর্মীদের ছাড়পত্র অনুমোদনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন, তিনি বলেন, "যখন ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে, তখনই দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের উড়োজাহাজ টিকিট নিশ্চিত করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিমানের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ২৩টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।"

 

তদন্ত কমিটি গঠন ও দায়িত্ব

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে দুর্নীতি ও অনিয়ম খুঁজে বের করতে এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) নূর মো. মাহবুবুল হককে প্রধান করে আজ রোববার ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতেও কাজ করবে এ কমিটি। যে কেউ চাইলে এই তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন বলেন, "মালয়েশিয়া যেসব কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, তাদের নামে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। ছাড়পত্র পেয়েও যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের টাকা রিক্রুটিং এজেন্সি ফেরত দেবে। বায়রা এটার দায়িত্ব নিয়েছে। আর যদি কর্মীদের টাকা ফেরত দেওয়া না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

 

মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব জানান, "কর্মীদের নিতে দেশটির বিমানবন্দরে আসেন নিয়োগকর্তা। গত কয়েক মাসে কোনো কর্মীকে নিতে না আসার ঘটনা ঘটেনি। আগে যে পাঁচ হাজার কর্মী কাজ পাননি, তাঁদের কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।"