|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৬ আগu ২০২৫ ০৯:৫৫ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৬ আগu ২০২৫ ০৩:৫১ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামে গত ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে যাওয়া ব্রিজ এখনো হয়নি ঠিক, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী 


কুড়িগ্রামে গত ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে যাওয়া ব্রিজ এখনো হয়নি ঠিক, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী 


আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে মেকলী ও ছাটকালুয়া গ্রামের একমাত্র ব্রিজটি ২০১৭ সালে বন্যায় ভেঙে যায়। আট বছর হয়ে গেল আর কোনো ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। এলাকাবাসী ভাসমান একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছিল।  সেটিও এখন ভেঙে গেছে। এতে চরম কষ্টে পড়েছে ৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। প্রতিদিন এই সাঁকো পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়ে থাকে।  সবচেয়ে কষ্টে ও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিশু, নারী ও রোগী। বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি নিয়ে নদী সাঁতরিয়ে পারাপার হচ্ছেন দু’পাড়ের মানুষ।  জরুরি ভিত্তিতে মেরামত না করলে মানুষের আরও দুর্ভোগ বাড়বে।
 
    
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে মেকলী ও ছাটকালুয়া গ্রামের কামারেরছড়া বিলের ব্রিজটি ২০১৭ সালে বন্যায় ভেঙে যায়।  ৪ গ্রামের মানুষ যাতায়াতের জন্য নিজেরাই টাকা দিয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। তাও ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।  

 

চরম কষ্টে পড়েছে মেকলী, ছাটকালুয়া, চতুরভুজ, গরেরবাজার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এসব গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ।  ব্রিজের উভয়পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা আছে। প্রতিদিন শিশু শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ  পারাপার হয়ে থাকে।
 

চরম কষ্টে পড়ে সামান্য বৃষ্টি আর বর্ষাকালে।  গ্রামবাসীরা জানায় আশেপাশের গ্রামগুলোতে যদি রাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তাদের প্রায় ৮ কিমি. ঘুরে যেতে হবে। রাতে কোনোভাবেই এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হওয়া সম্ভব নয়।  গ্রামের মানুষ গত কয়েক বছরে বারবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বলেও কোনো লাভ হয়নি। তারা সরকারের কাছে অনুরোধ করেন দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের ব্যবস্থা করার।
 

মেকলী গ্রামের আহাদ আলী, মতিয়ার রহমান জানান আমাদের যদি কোনো অসুবিধা হয় আমরা প্রতিবেশীর কাছে ঠিকমত যোগাযোগ করতে পারি না। পাশেই একতা বাজার কিন্ত ব্রিজের কারণে যেতে পারি না। ৭/৮ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।  এমন অবস্থায় পড়ে আছি।  
 

ছাটকালুয়া গ্রামের আবুল হোসেন (৫৪), রহমত ব্যাপারী (৪৩) জানান ব্রিজটি ভেঙে যাবার পর গ্রামবাসী ড্রামের ওপর ভাসমান বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। তাও প্রতিবছর ভেঙে যায়। আমরা কয়েক গ্রামের মানুষ টাকা ও ধান তুলে বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করে খুব কষ্টে চলাচল করছি।  কয়েক গ্রামের মানুষ বহুবার স্থানীয় প্রতিনিধিদের ব্রিজ নির্মাণের অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি।  তারা জানেনা কবে একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫