প্রকাশকালঃ
২৩ জুলাই ২০২৩ ১২:০৯ অপরাহ্ণ ১৭৭ বার পঠিত
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটের ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জানাবেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং অনেক কারচুপি হয়েছে উল্লেখ করে পরাজিত স্বতন্ত্র এ প্রার্থী শনিবার (২২ জুলাই) ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নির্বাচনে নানা অনিয়মের ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে। আমি আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটের ফল বাতিল চাইব এবং পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের জন্য আবেদন করব।’
ভোটকেন্দ্রে হামলার ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আলম বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন। আমি নাকি এক কেন্দ্রে দুবার করে গেছি। এক কেন্দ্রে আমি একবারই গেছি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে আমি অনুমতি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাইনি বলে আমাকে নিরাপত্তা দিতে পারেননি। আমি কেন কেন্দ্রে ঘোরার জন্য আবার ডিএমপির অনুমতি নেব? সেখানে তো আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা আছে। তাহলে আমার কেন অনুমতি নিতে হবে?’
ভোট কারচুপির অভিযোগের ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, ‘আমি সকাল থেকে অনেক কেন্দ্রে ঘুরেছি। দুপুর ১টা পর্যন্ত অনেক বুথে ৭-৮টির বেশি ভোট পড়তে দেখিনি। তাহলে এত ভোট পড়ল কি করে? কীভাবে আরাফাত সাহেব ২৭-২৮ হাজার ভোট পেলেন? কারচুপি যে হয়েছে এটা দেখেই বোঝা যায়।’
‘আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। আজ রাতেই সব কাগজ তৈরি করে আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেব। সেই সঙ্গে ফলাফল বাতিল করে যেন পুনরায় ভোট দেওয়া হয় সেই আবেদন করব’। যোগ করেন তিনি।
গত ১৭ জুলাই এই উপনির্বাচনে মোট ১২৪টি কেন্দ্রে ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পড়ে। ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট।
ভোটগ্রহণের দিন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোট কেন্দ্রে হিরো আলমের ওপর হামলা চালানে হয়। হামলার একদিন পর তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় হিরো আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ করা হয়।