প্রকাশকালঃ
১৫ জুলাই ২০২৪ ০৩:০১ অপরাহ্ণ ৪৬১ বার পঠিত
বিপদ-আপদ কিংবা কল্যাণ কামনা- সব ক্ষেত্রেই মহান রাব্বুল আলামিন মুমিনের একমাত্র ভরসা। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেন, তবে তোমাদের ওপর কেউ বিজয়ী হতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের লাঞ্ছিত করেন, তবে কে এমন আছে যে তোমাদের এরপর সাহায্য করবে? আর আল্লাহর ওপরই যেন মুমিনগণ তাওয়াক্কুল করে’ (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ১৬০)।
অপর আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, তবে আল্লাহও তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে দেবেন’ (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত: ৭)। এ বিষয়ে একাধিক হাদিসও পাওয়া যায়। আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে সোপর্দ করবে না।
যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তার অভাব পূরণ করবেন। যে ব্যক্তি (পৃথিবীতে) কোনো মুসলিমের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তা’য়ালা কেয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২২৮০)
তবে তিন শ্রেণির মানুষ আছে, যাদের মহান রাব্বুল আলামিন অবশ্যই সাহায্য করেন। আবূ হুরায়রাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’য়ালা অবশ্যই সাহায্য করেন। প্রথমত, ক্রীতদাস- যে তার মুক্তিপণ পরিশোধ করে স্বাধীন হতে চায়। দ্বিতীয়ত, বিবাহ উদ্যমী ব্যক্তি- যে নিজের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বিয়ে করে। তৃতীয়ত, মুজাহিদ- যে আল্লাহর পথে জিহাদ করে। (ইবনু মাজাহ, হাদিস: ২৫১৮; মেশকাত, হাদিস: ৩০৮৯)