হলের কক্ষ দখল নিয়ে ঢাবিতে মধ্যরাতে সংঘর্ষ

প্রকাশকালঃ ১৯ জুন ২০২৩ ০৪:১৪ অপরাহ্ণ ১৯৮ বার পঠিত
হলের কক্ষ দখল নিয়ে ঢাবিতে মধ্যরাতে সংঘর্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা’ সূর্যসেন হলে কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় লাঠি, স্টাম্প ব্যবহার করে করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত দু’জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সূর্যসেন হলের ২০৪ নম্বর কক্ষকে দখল নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে যাওয়া দুইজন হলেন- জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের মো. সুজন ও যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের জাবের বিন আমিন। 


প্রত্যক্ষদর্শী ও হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারীরা কক্ষ দখলের জন্য হলে ঘোরাফেরা করতে থাকে। রাত ১২টার পরে হলের ২০৪ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী মোস্তফা ইকবার হৃদয় ও জাহিদ হাসানের জিনিসপত্র রুম থেকে ফেলে দিয়ে তাদের বের হয়ে যেতে বলেন।

তারা (মোস্তফা ইকবার হৃদয় ও জাহিদ হাসান) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী। এসময় এ নিয়ে উত্তেজনা চলতে থাকে। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা দলবদ্ধ হয়ে সেখানে গিয়ে তাদের রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় অন্য দিক থেকে সভাপতির অনুসারী লাঠি, স্টাম্প দিয়ে আক্রমণ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। 

হলের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, মারামারি পর হলের প্রধান ফটকের দু’পাশে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বসে অবস্থান নেয়। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে। পরে রাত পৌনে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত হলে এসে দুই পক্ষকে শান্ত করেন। সংঘর্ষ নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।


সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের দাবি, সভাপতির অনুসারীরা বেশ কয়েকদিন ধরে কক্ষ দখলে পায়তারা করছে। ২০৪ নম্বর কক্ষ দখল করতে আসলে বাধা দিলে তারা লাঠি স্টাম্প নিয়ে হামলা করে। অন্যদিকে সভাপতির অনুসারীদের দাবি, সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা করে হামলা চালায় তাদের ওপর। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, শনিবার দিবাগত রাতে প্রায় একই সময়ে কক্ষ দখল নিয়ে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলেও সংঘর্ষে জড়ান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, রাতে তাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থেকে ঝামেলা হয়েছিল। ওখানে আমাদের হলের হাউস টিউটররা গিয়েছিলেন। ছাত্রদের সাথে কথা বলে রাতেই বিষয়টি মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে।