আত্মঘাতী গোলের সুবাদে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল ফ্রান্স। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে একমাত্র গোলের দেখা পায় কিলিয়ান এমবাপ্পের দল। র্যান্ডাল কোলো মুয়ানির শট ইয়ান ভের্টনঘেনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
জার্মানির ডুসেলডর্ফে ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের ম্যাচ উত্তেজনায় ভরপুর থাকবে এমন অপেক্ষোয় ছিলেন দর্শকরা। কিন্তু বেলজিয়ামের দিক থেকে বলার মতো আক্রমণ তেমন হয়নি। আর ফ্রান্স সুযোগ পেয়ে একের পর এক শট পাঠিয়েছে পোস্টের বাইরে।
বল দখলে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। ম্যাচে আক্রমণের শুরুটাও করে ওরা। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে আধিপত্য দেখাতে পারেনি। তারকাখচিত দলটা মাঝমাঠে আধিপত্য বিস্তার করলেও বেলজিয়াম ডিফেন্সের সামনে থমকে গেছে।
দ্বিতীয় মিনিটে আদ্রিয়ান রাবিওর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। ১০ মিনিটের মাথায় গ্রিজম্যানের শট তালুবন্দি করেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কোয়েন কাস্তেলস। ১৮ মিনিটে ফ্রান্সের মার্কাস থুরামের হেড চলে যায় গোলবারের বাইরে দিয়ে। ২৭ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর ফ্রান্সের ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলেও পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেননি রেফারি।
৩৪ মিনিটে জুলস কুন্ডের ক্রস থেকে থুরামের জোরালো হেড বাম গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৪০ মিনিটে চুয়ামেনির দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোলশূন্য ড্র অবস্থাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবারো আক্রমণ করতে থাকে ফ্রান্স। গোলের নেশায় মরিয়া ফরাসিরা আক্রমণের ধার বাড়ালেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট তাদের গোল পেতে দেয়নি।
৪৮ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে চুয়ামেনির ডান পায়ের শট ঠেকিয়ে দেন বেলজিয়াম গোলকিপার কোয়েন কাস্তেলস। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে বক্সে ঢুকেও গোল পাননি এমবাপ্পে। ডান পায়ের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
ফরাসিদের আধিপত্যের মাঝেও চেষ্টা করেছে বেলজিয়াম। ৭১ মিনিটে বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকুর জোরালো শট দারুণভাবে রুখে দেন ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইনান। ৭৪ মিনিটে উইলিয়াম সালিবার ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৮৩ মিনিটে গোল করার সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিল বেলজিয়াম। ডি ব্রুইনার দূরপাল্লার শট রুখে দেন ফরাসি গোলরক্ষ।
প্রথমার্ধে বেলজিয়ামের রক্ষণে ২৫টি আক্রমণ করেছে ফ্রান্স। ৮টি শট নিয়ে মাত্র একটি শট বেলজিয়ামের পোস্টে রাখতে পেরেছে ফ্রান্স। বেলজিয়াম ১১ বার আক্রমণ করে একটি শটও পোস্টে রাখতে পারেনি।