ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আশুলিয়া: ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে আহত অর্ধশতাধিক

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:০৩ অপরাহ্ণ   |   ৩৬ বার পঠিত
ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আশুলিয়া: ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে আহত অর্ধশতাধিক

সাভারের আশুলিয়ার খাগান এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত টানা দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।
 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুথু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর গায়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির জেরে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে হামলা চালায়। এতে কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর হয়।
 

পরে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে অগ্রসর হলে শুরু হয় ভয়াবহ সংঘর্ষ।
 

চোখেমুখে আতঙ্ক, চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা— এমন পরিস্থিতিতে ড্যাফোডিলের প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে মধ্যরাতের পর ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। লুট করা হয় কম্পিউটার ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেটকার, ভাঙচুর করা হয় আরও পাঁচটি যানবাহন।
 

সংঘর্ষ চলাকালে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলার পর ভোররাতের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এ সময় উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সংঘর্ষের পুরো সময়জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি। ঘটনাস্থলে এখনো বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা।