করোনাকালের তিন বছর পর প্রথমবারের মতো সর্ববৃহত্ হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে পবিত্র মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। প্রতিদিন ১০ বার পুরো মসজিদ প্রাঙ্গণ পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্তকরণের কাজ করবেন চার হাজারের বেশি পুরুষ ও নারী কর্মচারী, যাঁদের তত্ত্বাবধান করবেন চার শর বেশি সৌদি কর্মী। তা ছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের মধ্যে সাত হাজার জমজমের পানির বোতল বিতরণের কাজ করবেন আট শর বেশি কর্মী।
আর সাড়ে চার কন্টেইনার করে পাঁচ লাখ লিটার জমজমের পানি বিতরণ করা হবে।
মসজিদ পরিচালনা পর্ষদের মাঠপর্যায়ে সেবা বিষয়ক প্রধান মুহাম্মদ আল-জাবেরি জানান, জেনারেল প্রেসিডেন্সির তত্ত্বাবধানে মুসল্লিদের সেবা দিতে পাঁচ হাজার সাধারণ ট্রলি ও তিন হাজার ইলেকট্রনিক ট্রলি প্রস্তুত করা হয়। ‘তানাক্কাল’ অ্যাপের মাধ্যমে এগুলো পরিচালিত হয়। তা ছাড়া এর মাধ্যমে মসজিদের ভেতরের জীবাণুমুক্তকরণ কার্যক্রম, যানবাহন চালকদের তত্ত্বাবধান, মসজিদের গেটে পর্যবেক্ষক সরবরাহ, মুসল্লিদের নির্ধারিত স্থানের নির্দেশনা, প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রক্রিয়া সংগঠিত করা, নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।
আল-জাবেরি আরো জানান, মসজিদ প্রাঙ্গণ জীবাণুমুক্ত রাখতে অত্যাধুনিক ১১টি রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব রোবট কারো হস্তক্ষেপ ছাড়াই ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রগ্রামের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে। মসজিদ প্রাঙ্গণে সবাইকে মহামারি থেকে সুরক্ষিত রাখতে ১১টি বায়োকেয়ার, ২০টি অত্যাধুনিক জীবাণুমুক্তকরণ ডিভাইস, ছয় শটি আধুনিক স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা হয়েছে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য মানকে বিবেচনা করে মসজিদের আশপাশ সুরক্ষিত রাখতে ৭০ হাজার লিটারের বেশি স্যানিটাইজার ব্যবহূত হচ্ছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ জুন পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু হবে। করোনার পর এবারই প্রথম সর্ববৃহত্ হজে অংশ নেবেন ২০ লাখের বেশি মুসলিম। এর মধ্যে ১২ লাখের বেশি বিভিন্ন দেশের হজযাত্রী থাকবেন। করোনার আগে সাধারণত ২০ লাখের বেশি মুসল্লি হজ পালন করতেন। ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে মাত্র কয়েক হাজার লোক হজ পালনে অংশ নেন।
২০২১ সালে প্রায় ৬০ হাজার লোক হজ পালন করেন। ২০২২ সালে বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীসহ প্রায় ১০ লাখ হজ পালন করেন।