পানি ও চকলেট খেতে বাধা, পুলিশের ওপর চটলেন কামরুল ইসলাম

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৫:৪৪ অপরাহ্ণ   |   ৩৪ বার পঠিত
পানি ও চকলেট খেতে বাধা, পুলিশের ওপর চটলেন কামরুল ইসলাম

শাহবাগ থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে আদালতে হাজির হওয়া সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম চকলেট খেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে চটেছেন। মেজাজ হারিয়ে তিনি পুলিশ সদস্যদের ধমক দিয়েছেন।
 

বুধবার এই ঘটনা ঘটে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানার আদালতে। তবে এসময় হাকিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি না পেয়ে কামরুল ইসলামকে পানি ও চকলেট খাওয়ানো সম্ভব হয়নি।
 

জুলাই আন্দোলনের সময় বাংলামোটরে আল আমিন ইসলাম ওরফে সোয়েব হত্যাচেষ্টা মামলায়, সকাল ১০টার আগে কামরুল ইসলামকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
 

সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এজলাসে তোলা হলে সাবেক মন্ত্রীর হাতে ছিল হাতকড়া, মাথায় হেলমেট এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। কাঠগড়ায় নেওয়ার পর হেলমেট ও জ্যাকেট খুলে দেওয়া হয়।
 

এসময় তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন একটি চকলেট বের করে কামরুলকে খাওয়ান। চকলেট হাতে মুখে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা আইনজীবীকে ধমক দেন।
 

কামরুল ইসলাম তখন পুলিশকে বলেন,

“আমি ডায়াবেটিসের রোগী। আমাকে চকলেট দেওয়া হয়েছে, সেই জন্য বাধা দেবেন? বেয়াদব কোথাকার।”

এরপর পুলিশ ওই আইনজীবীকে কাঠগড়ার সামনে থেকে সরিয়ে দেন।
 

পরবর্তীতে হাকিম জুয়েল রানা এজলাসে উপস্থিত হয়ে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ মঞ্জুর করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
 

এরপর কামরুল ইসলামের আইনজীবী আফতাব মাহমুদ চৌধুরী আদালতে তার চকলেট ও পানি খাওয়ার অনুমতি চান। তবে আদালত অনুমতি দেননি। আফতাব মাহমুদ বলেন,

“কামরুল ইসলাম ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস আক্রান্ত। সকালে তাকে হাজতখানায় আনা হয়, পরে আদালতে তোলা হলে তিনি ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েন। চকলেট খাওয়ার অনুমতি না দিলেও মানবিকভাবে অন্তত পানি খাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আদালত অনুমতি দেননি, যা হতাশাজনক।”

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীরা বাংলামোটর ফুটওভার ব্রিজ মোড়ে অবস্থান করছিল। এসময় আসামিরা লাঠি, দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি চালাতে থাকে। এতে আল আমিন ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন।
 

এই ঘটনায় গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর আল আমিন ইসলাম কামরুল ইসলামসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ১৮ নভেম্বর ঢাকার উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।