কানাডীয় আইন প্রণেতাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে কানাডা থেকে এক চীনা কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই চীনা কূটনীতিকের নাম ঝাও ওয়েই। টরন্টোভিত্তিক এই কূটনীতিক কানাডার এক এমপিকে ভয় দেখানোর পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি কূটনীতিক ঝাও ওয়েইকে ‘অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি’ বলে ঘোষণা করেছেন।
জোলি বলেছেন, আমাদের (কানাডার) অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না। চলমান সব কিছু বিবেচনা করে কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে অটোয়ার চীনের দূতাবাস। চীনের দূতাবাসের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কানাডা সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘দৃঢ়ভাবে পাল্টা ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলেছে, এই মাসের শুরুর দিকে গ্লোব এবং মেইল পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়, চীন তার সীমানার মধ্যে বাস করা কানাডিয়ান একজন আইন প্রণেতার কোনো আত্মীয় সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল। আর এর পরই পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপের মুখে পড়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।
এ ছাড়া কানাডিয়ান গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও এই বিষয়টি উঠে এসেছে। গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন প্রণেতা মাইকেল চংয়ের ‘চীনবিরোধী অবস্থান’ রোধ করার প্রয়াসে হংকংয়ে চংয়ের আত্মীয়দের সম্পর্কে চীন বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বলে কানাডার গুপ্তচর সংস্থা বিশ্বাস করে।