সোমবার দলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির সম্ভাব্য নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মানসিক দূরত্ব কিছুটা কমেছে এবং জনগণের আস্থাও বেড়েছে। এখন সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশন, ভোটার, রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা দূর করার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, সরকারের ভেতরে ছোট ছোট সমান্তরাল শক্তি কাজ করছে, এগুলো অবিলম্বে ভেঙে দিতে হবে। পাশাপাশি যেসব উপদেষ্টার কারণে সরকার বিতর্কিত হয়েছে, তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া জরুরি। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণ কেবল একটি কার্যকর সরকারকেই দেখতে চায়।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশন যদি নির্বাচন আচরণবিধি বা আরপিও চূড়ান্ত করতে চায়, তবে আগে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত। অন্যথায় এই প্রক্রিয়া গ্রহণযোগ্য হবে না।
জুলাই সনদকে সামনে এনে তিনি বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার পর আর কোনো অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন নেই। তবে যেহেতু অনেক রাজনৈতিক দল নতুন অঙ্গীকারনামার কথা বলছে, সেক্ষেত্রে জুলাই সনদের আটটি অঙ্গীকার আমরা আগামী জাতীয় সংসদে কার্যকর করব এবং প্রয়োজনে তা সংবিধানেও অন্তর্ভুক্ত করব।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের মানুষদের হৃদয় পরিষ্কার করার কথা বলার আগে পাকিস্তানের উচিত ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়া। সেই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের বিচার ছাড়া অন্য কোনো আলোচনা অর্থবহ নয়।