ঢাকা প্রেস
বিনোদন প্রতিবেদক
বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা, বিশ্বকবি রবিঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’-এর লাবণ্য, ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসের কালজয়ী চরিত্র ‘দেবদাস’, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট চরিত্র কুবের, কপিলা, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘লালসালু’র মজিদসহ একসঙ্গে আরও বেশ কিছু চরিত্রের দেখা মিলতে যাচ্ছে একই নাটকের গল্পে। ধারাবাহিক এ নাটকের নাম ‘যদি এমন হতো’।
ঐতিহাসিক ও কালজয়ী চরিত্রদের এক অভূতপূর্ব মিলনমেলা
আবু হায়াত মাহমুদের নির্দেশনায় নির্মিত "যদি এমন হতো" ধারাবাহিকটি বাংলা টেলিভিশনে এক অভিনব অধ্যায় যোগ করেছে। শরৎচন্দ্রের দেবদাস, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুবের-কপিলা, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লালসালুর মজিদ - এসব বিখ্যাত চরিত্র একই নাটকে জীবন্ত হয়ে উঠেছে! এছাড়াও, বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং রবীন্দ্রনাথের "শেষের কবিতা"-র লাবণ্যও এই অসাধারণ কল্পনার সাথে মিশে গেছে।
কাহিনীর রহস্য:
শারমিন, একজন জনপ্রিয় লেখিকা, রাইটার্স ব্লক কাটাতে থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাচ্ছেন। বইয়ের পাতায় ডুবে থাকাকালীন, হঠাৎ উপন্যাসের চরিত্রগুলো তার সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে! হ্যালুসিনেশন বলে মনে হলেও, শারমিন এই অদ্ভুত ঘটনার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চালিয়ে যান।
চমৎকার অভিনয়:
আজাদ আবুল কালাম, শতাব্দী ওয়াদুদ, তৌসিফ মাহবুব, ফারহান আহমেদ জোভান, মুমতাহিনা টয়া, কেয়া পায়েল, সামিরা খান মাহি, মিশু সাব্বির, তানিয়া আহমেদ, সাজু খাদেম, মাহা, চাষী আলম - এই সকল খ্যাতিমান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাদের অসাধারণ অভিনয় দক্ষতায় চরিত্রগুলোকে जीवंत করে তুলেছেন।
চিত্রায়নের অপূর্ব সৌন্দর্য:
থাইল্যান্ডের মনোরম পরিবেশে চিত্রায়িত এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। পাতায়ার নয়নাভিরাম স্থানগুলোতে ধারণ করা দৃশ্যগুলো চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।
নির্মাতার বক্তব্য:
পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ মনে করেন, "যদি এমন হতো" একটি এক্সক্লুসিভ ধারাবাহিক। দেশের বাইরে এত তারকা নিয়ে পুরো একটি ধারাবাহিক নাটক আগে কখনো নির্মিত হয়নি। তিনি আশা করেন, এই অসাধারণ গল্প এবং জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় দর্শকদের মন জয় করবে।
"যদি এমন হতো" কেবল একটি ধারাবাহিক নাটক নয়, বরং বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি চরিত্রদের এক অভূতপূর্ব মিলনায়ন। চমৎকার গল্প, অসাধারণ অভিনয় এবং মনোরম চিত্রায়নের মাধ্যমে এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলবে বলে আশা করা যায়।