দীর্ঘ দিন ধরে গুঞ্জন চলছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডের ফুটবলার হামজা চৌধুরী লাল-সবুজের জার্সিতে খেলবেন। তিনি নিজেও এই বিষয়ে ইচ্ছে পোষণ করেছেন। তবে হামজা চৌধুরী আদৌ বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে পারবেন কি না, আলোচনা এসব নিয়েই।
বাংলাদেশের ফুটপ্রেমিদের মতো জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও চান হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন। তিনি আশাবাদী, হামজা বাংলাদেশের হবেন অচিরেই। বাফুফের সহসভাপতি ও জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ জানিয়েছেন, হামজার সঙ্গে কথা অনেক দূর এগিয়েছে। অচিরেই সুখবর আসবে বলেও জানান তিনি। হামজা চৌধুরী নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য।
হার্টে অস্ত্রোপচারের তিন মাস পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে এলেন কাজী সালাউদ্দিন। বুধবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে নিজের শারীরিক অবস্থা, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার সম্ভাবনাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থার সভাপতি।
হামজাকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি অত সহজ না (হামজার বাংলাদেশের হয়ে খেলা)। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে সে বা আমরা চাইলেই তো হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। হামজার ক্লাবকে রাজি হতে হবে, ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের রাজি হতে হবে। বাফুফে থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। হামজাকে আমরা আনতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাফুফে সভাপতির উক্তি ব্যবহার করে একটি গ্রাফিক্যাল কার্ড প্রায়ই দেখা যায়। হামজার ব্যাপারে কাজী সালাউদ্দিন নাকি বলেছেন, তাকে বাংলাদেশের লিগে খেলে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানতে চাইলে বাফুফে বসের সাফ কথা, ‘আমাকে দেখলে কি পাগল মনে হয়! হামজাকে বাংলাদেশের লিগে কেন যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। আমি তো পাগল না, আমি নিজে ফুটবলার ছিলাম। আমি অমন কথা কেন বলতে যাব?