আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ মূল ধারায় আনতেই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
শনিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেটপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের জন্য হলেও কালোটাকা সাদা করায় মূল ধারার ব্যাংকে চলে আসবে।
এ সময় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাজেট পরিমিত বাস্তবসম্মত ও গণমুখী ও সাহসী। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই বাজেটকে স্বাগত জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে জোট সরকারের শাসনামলের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৫ সালে বিএনপি ৪০ শতাংশ মানুষকে দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলে গেছিল। এই ১৪ বছরে সেটা ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছে সরকার তিনি আরও বলেন, আগের বাজেটের চেয়ে এই বাজেটে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। উন্নত অনেক দেশও মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।
১৫ বছর আগের বাংলাদেশ ১৫ বছর পরের বাংলাদেশ উন্নয়ন অর্জনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে বলেও উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী। পাশাপাশি বাংলাদেশ এখন ৩৩তম বৃহৎ অর্থায়নের দেশ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু ডালে ভাতে নয় পুষ্টি উৎপাদনেও এগিয়ে। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার (প্রতিষ্ঠিত হয়েছে) চিকিৎসা প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
জোট সরকারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার) বাজেট ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তবু বিএনপিকে বিদেশে গিয়ে দৌড়াতে হয়েছিল ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।