বাগেরহাটের শরণখোলাইয় পচা ডিম-কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হয় কেক-বিস্কুট

প্রকাশকালঃ ১৫ জুন ২০২৩ ০১:৪৬ অপরাহ্ণ ১৯৩ বার পঠিত
বাগেরহাটের শরণখোলাইয় পচা ডিম-কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হয় কেক-বিস্কুট

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের আল-আমিন নামের একটি বেকারির কারখানায় পচা ডিম, কাপড়ের রং আর নোংরা পরিবেশে তৈরি হয়ে আসছে কেক, বিস্কুটসহ নানা ধরনের মুখরোচক খাদ্য। দীর্ঘদিন ধরে এসব অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য বাজারজাত হচ্ছে শরণখোলা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম পর্যায়ে। এসব খাবার খেয়ে শিশুসহ বয়স্করাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎকেরা।

এমন অভিযোগে বুধবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান চালিয়েছে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সরেজমিন গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান সংশ্লিষ্টরা। পরে শরণখোলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুসের ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন কারখানা মালিক মো. মিজানুর রহমানকে। জানা গেছে, এভাবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদনের জন্য এর আগেও কয়েকবার জরিমানা গুনেছেন এই বেকারির মালিক।


ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, আল আমিন বেকারি কারখানার ভেতরে পচা দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে ঢুকতে হয়েছে।

এক পাশে থরে থরে সাজানো হাজার হাজার পচা ডিম। এ ছাড়া কৌটা ভর্তি ক্ষতিকর কাপড়ের রং। যা দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার।


এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পিরকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস জানান, রঙের তৈরি খাবার জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

এসব খাবার খেয়ে ক্যান্সার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে শিশু স্বাস্থ্যের জন্য এসব খাবার ঝুঁকিপূর্ণ।

অভিযানকালে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সৌরভ চন্দ্র বর্মণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও জেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বাবুল সরদার, শরণখোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সুকুমার চন্দ্র সিকদার, রায়েন্দা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।