চট্টগ্রামে বাসচাপায় হেফাজত নেতার মৃত্যু, উত্তরে সড়ক অবরোধে উত্তেজনা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ০১:২৫ অপরাহ্ণ   |   ৪৩ বার পঠিত
চট্টগ্রামে বাসচাপায় হেফাজত নেতার মৃত্যু, উত্তরে সড়ক অবরোধে উত্তেজনা

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

 

চট্টগ্রামের রাউজানে বাসের চাপায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা সোহেল চৌধুরী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঘটে এই দুর্ঘটনা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
 

দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এটি কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা নয়— পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সেই অভিযোগে আজ বুধবার ভোর থেকে হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি, মানিকছড়ি ও পার্বত্য জেলার কিছু এলাকায় সড়ক অবরোধ করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই হাটহাজারী মাদ্রাসা এলাকা, কলেজ গেট, জাগৃতি মোড় ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংগঠনের শত শত কর্মী অবস্থান নেন। তাঁরা সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেন, কাঠের বেঞ্চ ফেলে দেন রাস্তায়। ফলে পার্বত্য এলাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
 

হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুব সম্পাদক মাওলানা কামরুল কাসেমী ও দপ্তর সম্পাদক মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ বলেন,

“মাওলানা সোহেল চৌধুরী ছিলেন নির্যাতিত ও নিপীড়িত এক নেতা। শেখ হাসিনার আমলে তিনি গুম ও কারাভোগ করেছেন। তাঁর ওপর আগে থেকেই ষড়যন্ত্র চলছিল। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিচার চাই, দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার চাই।”

হেফাজত সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর সোহেল চৌধুরীকে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে দলীয় নেতাকর্মীরা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন ও সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন।
 

হেফাজত নেতারা দাবি করেছেন, অবিলম্বে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
 

এদিকে, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী তারিক আজিজ জানিয়েছেন,

“আমরা হেফাজত নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শিগগিরই সড়ক থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত হয়েছেন।”

ঘাতক বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ এবং এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।