কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারে অনীহা

প্রকাশকালঃ ২৫ মার্চ ২০২৪ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ ১৬৬ বার পঠিত
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারে অনীহা

প্রযুক্তির নেশা বর্তমানে একটি বিতর্কিত বিষয়, বিশেষ করে যখন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে স্মার্টফোন আসক্তির কথা আসে। অনেকে মনে করেন এই অপ্রাপ্তবয়স্করা প্রযুক্তির প্রতি আসক্ত, কিন্তু গবেষণা অন্য কথা বলে।

 

পিউ রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপ অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চারজন কিশোর-কিশোরীর মধ্যে তিনজনই তাদের কাছে স্মার্টফোন না থাকলে শান্তিতে বা সুখে থাকে। অধিকাংশ কিশোর-কিশোরীই স্মার্টফোন দূরে রাখার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে।

 

৩৮ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মনে করে তারা স্মার্টফোনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে। ৫১ শতাংশ নিজেদের স্মার্টফোনের পেছনে ব্যয় করা সময়ের পরিমাণকে ‘প্রায় সঠিক’ মনে করে।

 

কিশোরীরা কিশোরদের তুলনায় স্মার্টফোনে অতিরিক্ত সময় কাটানোর কথা জানিয়েছে। সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রায় একইরকম অভিজ্ঞতা দেখা গেছে। ৪২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মনে করে স্মার্টফোন তাদের সামাজিক দক্ষতা শেখার ক্ষেত্রে বাধা।

 

অন্যদিকে ৩০ শতাংশের মতে স্মার্টফোন তাদের সামাজিক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করেছে। জরিপে আরও বলা হয়েছে, স্মার্টফোন কাছে না থাকলে কিশোর-কিশোরীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নেতিবাচক আবেগে আক্রান্ত হয়। ১০ জনের মধ্যে চারজন কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে তাদের কাছে স্মার্টফোন না থাকলে তারা মাঝে মাঝে হলেও উদ্বিগ্ন, বিচলিত বা একাকীত্ব বোধ করেছে।

 

অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই উদ্বেগের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও ফ্লোরিডা রাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও কানাডা আইন করেছে।