টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢল ও বাঁধ ভেঙে শেরপুরের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশকালঃ ০৩ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৪ অপরাহ্ণ ৫৫৪ বার পঠিত
টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢল ও বাঁধ ভেঙে শেরপুরের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত

কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েক স্থানে ভেঙে গেছে নদীর বাঁধ। এতে অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতশত পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করেছে ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরে। এতে ডুবে যায় প্রধান সড়ক, বাজারের অলিগলি ও অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আকস্মিক ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতে ঢলের পানি কমলেও প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৩০টি গ্রাম।


আজ বুধবার (৩ জুলাই) নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর দুইপাড়ের কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে শ্রীবরদীর সীমান্তবর্তী ভারত থেকে নেমে আসা সোমেশ্বরী নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।


এতে ঝিনাইগাতীর নিম্নাঞ্চলের ৩০টি গ্রামের শতশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে কান্দুলী নামাপাড়া গ্রামের প্রায় আড়াই শ পরিবার ঘরে পানি প্রবেশ করায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। সেই সঙ্গে পানিতে ডুবে গেছে শতশত পুকুর, সবজি ক্ষেত ও বীজতলা। বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে চরম বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে এখনও প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদের কোনো সহায়তা তারা পায়নি বলে জানান বন্যা দুর্গত এলাকার পানিবন্দি বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।